সরকারি খরচে প্রকাশিত হল শ্রীমদ্ভগবদ গীতা।খররটি পড়ে হয়তো অনেকেই চমকে উঠবেন।তকমায় ধর্মনিরপেক্ষ হলে তো কথাই নেই ।গেল গেল রব তুলে মাঠে নামার প্রস্তুতিও সেরে ফেলবেন। না দু:চিন্তার কোন কারণ নেই। এ হেন চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে।ঐ দেশের সরকার আরবি ভাষায় শ্রীমদ্ভগবদ গীতা প্রকাশ করেছে।আরব কোনো ধর্মনিরপেক্ষ দেশ নয়, আরব কট্টরপন্থী ইসলামিক দেশ যেখানে বহু কট্টরপন্থী সংগঠন আছে যারা অন্য ধর্মগ্রন্থের সম্পুর্ন বিরোধী।তা সত্বেও সে দেশের সরকারের এই সিদ্ধান্তের কোন বিরোধীতা হয়েছে বা মোল্লা মৌলভীরা ফতোয়া দিয়েছে এমন কোন খবর পাওয়া যায় নি। অবশ্য প্রায় এক বছর আগে এরকম একটি খবর আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল যে সৌদি আরবে গীতা বেষ্ট সেলার ।আরবি ভাষায় প্রকাশিত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদ গীতার ১৫ লক্ষ কপি বিক্রি হয়ে গেছে।
আরবের দেশগুলিতে শ্রীমদ্ভগবদ গীতার প্রতি মানুষের আকর্ষণ এত বেড়ে চলেছে যে শ্রীমদ্ভগবদ গীতার বিক্রি রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে।না এটি কোন কাকতালীয় ঘটনা নয় ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বহু দেশে গিয়ে সেখানের শক্তিশালী নেতাদের ভাগবত গীতা দান করে এসেছেন।স্বাভাবিক ভাবেই এর প্রভাব পুরো বিশ্ব জুড়ে পড়তে শুরু করেছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে আরবের কিছু দেশ যার মধ্যে UAE সামিল রয়েছে সেখানে মন্দিরও তৈরি হতে শুরু করেছে। সেখানে ভাগবত কথা, রামকথাও হচ্ছে, যেখানে ভারত থেকে যাওয়া শুধু হিন্দুরাই নয় আরবি মানুষেরাও যোগ দান করছেন।প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগেই ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।ভারত সমগ্র বিশ্বকে যোগ প্রাণায়ামের মাধ্যমে সুস্থ থাকার কৌশল শেখাচ্ছে।অতি সম্প্রতি কুম্ভমেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শান্তিপূর্ণ জন সমাবেশের স্বীকৃতির সাথে সাথে বিশ্ব ঐতিয্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।মনে পড়ছে কবিতার সেই লাইন …..ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’।