হংকং সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে চিনা সৈন্য, সাবধান করলেন ট্রাম্প

গত প্রায় ১০ সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত হংকং। চিনের এক বিশেষ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে হংকং জুড়ে। ইতিমধ্যেই হংকং-এর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব উড়ানও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সাবধান করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার রাতে ট্যুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন যে মার্কিন গোয়েন্দারা খবর পেয়েছে, হংকং-এর সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে চিনের সেনাবাহিনী। তাই সেখানকার মানুষ যাতে সাবধানে থাকেন, সেই বার্তাই দিয়েছেন ট্রাম্প।

একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেকেই আমাকে ও আমেরিকাকে হংকং-এর এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে, কেন বুঝতে পারছি না।’

বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হওয়া হংকং-এর এক বড় অংশের মানুষের আন্দোলন ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। নজির বিহীনভাবে সেই আন্দোলনকারীরা দখল নিয়েছে হংকং-এর বিমানবন্দর।

প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারী হংকং এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে। বিমানবন্দরের সমস্ত চেক ইন বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের টার্মিনালের যাবতীয় পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। সমস্ত যাত্রীকে এদিন আপৎকালীন ঘোষণার মাধ্যমে হংকং ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। মুহূর্তে ঘোষণা করা হয় , যে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমস্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

চিনা ভূ-খণ্ডে থাকা বন্দিদের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত সরকারের নয়া আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে হংকং-এর মানুষ। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, চিনে কোনও অপরাধ করে হংকং-এ পালিয়ে আসা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিনে বিচারের জন্যে পাঠানো হতে পারে। এই আইনটি সামনে আসার পরেই গত ১০ সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় নানা স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জনতা-পুলিশ প্রকাশ্য সংঘর্ষও বেঁধেছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধীদের এই আইনের অজুহাতে গ্রেফতার করতে পারে চিন। এই অবস্থায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার আওতাধীন হংকং-এর জনগণ চিনা আদালতে বিচারে অংশ নিতে চায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.