বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে শিব মন্দির৷ এই সমস্ত মন্দিরগুলিকে ঘিরেই রয়েছে নানা অজানা কাহিনী৷ তেমনই পাকিস্তানের এক শিব মন্দিরকে ঘিরেও রয়েছে রহস্যজনক একটি কাহিনী৷ কথিত আছে, এই মন্দিরের সামনের পুকুরে নাকি শিব ঠাকুরের চোখের জলেই তৈরি৷
এই মন্দিরটির নাম কাটাসরাজ মন্দির৷ এছাড়াও এই পুকুরের চারপাশে রয়েছে আরও সাতটি মন্দির৷ পাক অধিকৃত পাঞ্জাব প্রদেশের চাকওয়াল জেলায় এই মন্দিরটি অবস্থিত৷ শিব ঠাকুরের স্ত্রী সতী যখন মারা গিয়েছিলেন এই জায়গাতে বসেই কেঁদেছিলেন শিব৷ সেই জলেই নাকি এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে৷ তবে, শুধু শিব ঠাকুরই নয়৷ এই পুকুরটিকে ঘিরে মহাভারতের একটি গল্পও জড়িয়ে রয়েছে৷ মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবেরা নির্বাসনে যখন ছিলেন সেই সময়ই তারা মন্দিরটি তৈরি করেন৷
মহাকাব্য অনুযায়ী, নির্বাসনে থাকার সময় পঞ্চপাণ্ডবেরা এসেছিলেন জল পান করতে৷ কিন্তু সেই সময় যক্ষ ওই নদীর রক্ষাকারী পঞ্চ পাণ্ডবকে সেই জল খেতে দেন নি৷ সে পঞ্চপাণ্ডবের সামনে কিছু প্রশ্ন রাখে আর বলে যে, যদি এই প্রশ্নের উত্তর গুলি তারা দিতে পারে তাহলেই সে জল খাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু পঞ্চ পাণ্ডবদের মধ্যে শুধুমাত্র যুধিষ্ঠির এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন৷
শিবরাত্রির দিন ওই এলাকায় সমস্ত হিন্দুরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন৷ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এই মন্দিরে তারা স্নানও করতেন৷ যদিও বর্তমানে এই মন্দিরের আশেপাশে কোনও হিন্দু না থাকায় এই মন্দিরটি আপাতত পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে৷ এমনটি এটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটেরও অন্তর্ভুক্ত৷
এখানে কিছু বৌদ্ধ মন্দির এবং অদুরে আরও কয়েক্তি হিন্দু মন্দির আছে। এখানে আল বিরুনি এসেছিলেন এবং সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন। মন্দিরের সাথে সরোবর আছে এবং এ সরোবরের জল কে অতি পবিত্র মনে করা হয়।