কেউ বলেছেন ‘অপমানজনক’, কেউ আবার বলেছেন, ‘এটা আমেরিকা নয়!’, ‘গণতন্ত্রের শত্রুরা খুশি হবে’। ওয়াশিংটন ডিসি-তে ইউএস কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা চালানোর এই নজিরবিহীন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। হামলার নিন্দা করেছেন ভারত, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায়, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন, স্লোভানিয়া প্রভৃতি দেশ। নিন্দা করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও।
ভারত : বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসি-তে এই হিংসার ঘটনা বেদনাদায়ক। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্র এ ধরণের হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করে না।’
ব্রিটেন : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করে লিখেছেন, ‘আমেরিকা কংগ্রেসের ইতিহাসে এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া প্রয়োজন।’
ফ্রান্স : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, গণতন্ত্র নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন উত্থাপন করে, তাঁদের আমরা সমর্থন করি না।
জার্মানি : গণতন্ত্রকে পদদলিত করা বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী হেইকো মাস। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘আমেরিকান ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকদের। গণতন্ত্রকে পদদলিত করা বন্ধ হোক।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন : ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তীব্র নিন্দার সুরে জানিয়েছে, মার্কিন গণতন্ত্রে হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কানাডা : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটে লিখেছেন, ‘আমেরিকায় গণতন্ত্রের উপর ঘটে যাওয়া হামলায় কানাডাবাসীরা তাঁদের নিকটতম সঙ্গী ও প্রতিবেশীকে নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। হিংসা কখনই একটি দেশের সাধারণ মানুষের দেওয়া রায়কে পাল্টে দিতে পারে না। আমেরিকায় গণতন্ত্রকে তুলে ধরতে হবে’।
অস্ট্রেলিয়া : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ঘটনাটি খুবই উদ্বেগের। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন টুইট করে লিখেছেন, ‘যা হচ্ছে, ঠিক হচ্ছে না। গণতন্ত্র মানে সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার। তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই মতামতের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে কখনই কোনও সন্ত্রাসের মুখে পড়তে দিলে চলবে না।’
2021-01-07