সেই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে করো না ভাইরাসের প্রকোপ। মে মাস প্রায় শেষ হতে চললেও থামার কোন লক্ষন নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো সংক্রমণের হার বাড়ছে চড়চড় করে। প্রতিষেধক কবে তৈরি হবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিষেধক আসাটাই শেষ কথা নয়। ভ্যাক্সিন তৈরি হলেও দশকের পর দশক বিশ্বে মানুষের মধ্যে থেকে যেতে পারে করোনাভাইরাস। এটাই নাকি মহামারীর নিয়ম। বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের লোককে বলে থাকেন এনডেমিক। এরকম কিছু রোগের উদাহরণ হল হাম, এইচআইভি, চিকেন পক্স।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী এক্সপার্টরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতেও করোনা প্রকপের শেষ দেখা যাচ্ছে না।
তবে হ্যাঁ ভবিষ্যতে পরিস্থিতি হয়তো এতটা খারাপ থাকবে না। এই ভাইরাসের শক্তি ক্ষয় হবে। মানুষও এই ভাইরাসের সঙ্গে নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মানিয়ে নেবে। বর্তমানে পৃথিবীতে এরকম অনেক করোনাভাইরাস এন্ডেমিক হিসেবে থেকে গিয়েছে, সেগুলো অনেক সময় সাধারণ ঠান্ডা লাগার কারণ তৈরি করে। এরকম চারটি করোনাভাইরাস আছে বলে জানিয়েছেন, পঞ্চম হতে চলেছে এই কোভিড ১৯।
অন্যদিকে, আমেরিকান বায়োটেকনোলজি সংস্থা মোদারনা ইনক দাবি করেছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম পরীক্ষা সফল হয়েছে। বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন দিয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসের আক্রমণকে অনেক দুর্বল করে তোলে। প্রথম মানব পরীক্ষার সাফল্যের পরে এখন দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।
জানানো হয়েছে, প্রথম বার এই হিউম্যান ট্রায়াল অল্প সংখ্যক লোকের ওপর চালানো হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিধি বাড়ানো হবে।
এদিকে, ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। লকডাউনের দু মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যায়নি। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৬৬ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৯৪ জনের। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে এই মৃত্যু সংখ্যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ওদিকে দেশজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৩১ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৬৯২ জন।
ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রবাসী ভারতীয় অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাস করোনা কমার লক্ষণতো নেই বরং তা আরও বহু গুন বেড়ে যাবে৷ জুলাইতে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ পেরিয়ে যেতে পারে৷