এককথায় বেনজির। যুদ্ধ পরিস্থিতির মতোই চেংদুর মার্কিন দূতাবাস থেকে আমেরিকার জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। বেশ কয়েকদিন আগেই চিন আমেরিকার (USA) ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। তা সত্বেও ওই দূতাবাসে কাজ চলছিল বলে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি। এরপর সোমবার দেখা যায় ওই দূতাবাস থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমেরিকার সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাতের পথে যেতে চাইছে চিন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) চিনের সমালোচনা করে দাবি করেন, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল হিউস্টনের চিনা দূতাবাসটি। পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও ওই চিনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি ছিল, হিউস্টনের চিনা কনসুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়।
আমেরিকা হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ায় পালটা পদক্ষেপ হিসেবে চিনও (China) আমেরিকাকে চেংদুর (Chengdu) মার্কিন দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশিকা জারি করে বেজিং জানায়, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনওরকম কাজ চালানো যাবে না। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা। আমেরিকার একতরফা সিদ্ধান্তের জেরেই আইন মেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই সোমবার দেখা যায় চেংদুর ওই দুতাবাসটির মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,”চিন আমেরিকাকে ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। আমেরিকার কন্যুলেট জেনারেলের উচিত এখনই ওই দূতাবাসের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সম্ভবত সেকারণেই এই দূতাবাসটিকে টার্গেট করল চিন।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মতোই চেংদুর মার্কিন দূতাবাস থেকে আমেরিকার জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন।
বেশ কয়েকদিন আগেই চিন আ