ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আঘাত হানছে করোনার (CoronaVirus) দ্বিতীয় ঢেউ। যার জেরে ফের একাধিক দেশ হাঁটছে কড়া লকডাউনের পথে। বুধবারই জার্মান সরকার নতুন করে দেশে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বৃহস্পতিবার সেই পথেই পা বাড়াল ফ্রান্স। তারা জার্মানির থেকেও কড়া লকডাউনের পথে হাঁটছে। খোদ ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন। ইটালি এবং স্পেনেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে এখনও।
আসলে করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই যেন সত্যি হচ্ছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল COVID-19 নামক মহামারী ইউরোপের দেশগুলি থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে। ধীরে ধীরে কমে আসছিল দৈনিক করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু করে দিয়েছিল ফ্রান্স, স্পেন, ইটালির মতো দেশগুলি। তখনই অবশ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের আঘাত হানতে পারে মারণ ভাইরাস। দ্বিতীয়বার আছড়ে পড়তে পারে এই অতিমারীর ঢেউ। ইউরোপে এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। তথ্য বলছে ফ্রান্সে ফের হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুদিন সেদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। যা কিনা সেই এপ্রিল মাসের পর এই প্রথমবার হচ্ছে। ব্রিটেনে গত মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৪ হাজার ৭০১ জন সেটাও গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। WHO বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ইউরোপে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
তাই বাধ্য হয়েই বুধবার ফের একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি (Germany)। হোটেল, রেস্তরাঁ, বার, পাব, সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সব কার্যকলাপ বন্ধ। জমায়েতের সর্বোচ্চ সীমা দশ জন। ফ্রান্সের লকডাউন (Lock Down) আরও কড়া। সেখানে জরুরি নয়, এমন সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইটালি, স্পেনেও রয়েছে বেশ কিছু ধরনের নিষেধাজ্ঞা। একটা জিনিস পরিষ্কার, করোনার এই দ্বিতীয় ধাক্কাকে ইউরোপের সব দেশই ভয় পাচ্ছে। যা ভারতের মতো দেশের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। কারণ, এদেশে এখন সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, করোনা বিদায় নিচ্ছে। যে কোনও সময় ইউরোপের দেশগুলির মতো দ্বিতীয়বার আঘাত হানতে পারে এই মারণ ভাইরাস।