বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল তৃণমূল-এর। নাম ‘তৃনমূল বিএনপি’। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দলটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা আগামী লোকসভা ভোটে লড়াই করে। বলে রাখা ভাল, ‘তৃনমূল বিএনপি’ -র সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ওপারের দলটিও দাবি, তারা নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের পার্টি। প্রসঙ্গত, নতুন দল তৈরি হয়েছে সে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভেঙে।
‘তৃণমূল বিএনপি’ -র প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির প্রথমসারির নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তাঁর কথায়, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পাথেয় করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে তৃণমূল বিএনপি গঠন করা হয়েছে।’
সেদিক থেকে নতুন দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে শাসক দল আওয়ামী লিগের। তাই শাসক দলের সঙ্গে নতুন দলের সম্পর্কের সমীকরণ কেমন হবে তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। নতুন দলের প্রতীক হল, সোনালী আঁশ। নতুন দলটির খাতায়কলমে জন্ম কয়েক বছর আগে। তবে মামলা মোকদ্দমায় সেটির স্বীকৃতি আটকে ছিল। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছিল না।
নাজমুল হুদার বক্তব্য, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির নেতৃত্ব অরাজনৈতিক লোকজনের হাতে চলে গিয়েছে। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ। সে জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে তৃণমূল বিএনপি গঠন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন একই অভিযোগ তুলে। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাংলায় সিপিএমের মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নিজের দল গড়ে সিপিএমকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৃণমূল নেত্রী।