করোনার ভ্যাক্সিনের ২০ লক্ষ ডোজ প্রস্তুত আছে। সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝেই এমন বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি জানালেন, ‘ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ দারুন এগিয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে সকালের প্রেস কনফারেন্সে এমন বার্তা দিলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘ভ্যাক্সিনের প্রস্তুতি এগিয়েছে অনেকটাই। এমনকি আমরা ২০ লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন প্রস্তুত রেখেছি। নিরাপদ প্রমাণিত হলে, সেই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্যাক্সিন নিয়ে দুর্দান্ত কাজ করছি। খুব তাড়াতাড়ি ইতিবাচক খবর জানতে পারবেন।’
ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচটি সংস্থাকে নির্বাচন করেছে, যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ করছে। যদিও কোন সংস্থা ভ্যাক্সিনের প্রোডাকশন শুরু করেছে, তা উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের হেল্থ অ্যাডভাইসর ড. অ্যান্টনি ফচি জানিয়েছেন, অন্তত চারটি ট্রায়াল হয়েছে ভ্যাক্সিন তৈরির। ২০২১-এর প্রথমার্ধের মধ্যে ভ্যাক্সিন তৈরি হয়ে যাবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন আধিকারিকেরা।
এদিকে, এখন সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে চলেছে আমেরিকায়।
২৪ ঘণ্টায় ৯১৯ জন নতুন করে মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকার এই ছবিতে আতঙ্কের পারদ চড়ছে দ্রুত।
বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭,০৯৯ জন। বিশ্ব মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের থাবায় সবচেয়ে এখনও অবধি সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশ আমেরিকা। সংক্রমণ থেকে মৃত্যু সবেতেই এগিয়ে এই দেশ।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী,আমেরিকায় মোট করোনা সংক্রমিত ১.৮৫ মিলিয়ন মানুষ। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ফ্রাগে-ক্ষোভে প্রতিবাদের সুর চরেছে। রাস্তায় নেমেছেন মানুষ।
কিছুটা সংক্রমণ যদিও উঠানামা করছে তবে এই বিস্তারিত বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে আবারও সংক্রমণ বাড়বে বলেই চিন্তাপ্রকাশ করেছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে WHO -র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে আমেরিকা। সব ফান্ডিং বন্ধ করে ওই টাকা অন্য কোনও সংস্থাকে দেওয়া হবে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প বলেছেন WHO-এর উপর চিনের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু চিন ওই সংস্থাকে বছরে মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার দেয় ও আমেরিকা সেখানে বছরে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়।