বিমান দুর্ঘটনার ১২ ঘন্টা পর জাকার্তায় মিলল যাত্রীদের দেহাংশ। জাকার্তার কাছে জাভা সাগরে দেহের অংশ খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ৬২ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় নিখোঁজ হওয়া বিমান বোয়িং বিমানটি উত্তর পশ্চিম জাভা সাগরেইয়ে ভেঙে পড়েছিল। জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইউসরি ইউনুস জানান,রবিবার সকালে তারা বেশ কয়েকটা ব্যাগ উদ্ধার করেছেন এবং তার সঙ্গে মানুষের দেহের অংশও জুড়ে রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণমন্ত্রী বুড়ি কারায়া সুমাদি সাংবাদিকদের জানান যে, উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করার পরে যাত্রীদের তল্লাশি শুরু করে। তারা যে ব্যাগগুলি খুঁজে পেয়েছে সেগুলি ল্যাঞ্চং আইল্যান্ড এবং লাকি দ্বীপের মাঝামাঝি স্থানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিমান সংস্থাটি বিবৃতি অনুযায়ী, বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে পশ্চিম কালিমন্থান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাকের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। প্রায় ৯০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানটিতে ৫০ জন যাত্রী ছাড়াও ১২ জন বিমান কর্মী ছিলেন। সকলেই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
পরিবহণমন্ত্রী বুড়ি কারায়া সুমাদি বলেছেন যে, উত্তর জাকার্তার লঞ্চাং এবং লাকি দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসাবে চারটি যুদ্ধ জাহাজসহ প্রায় ১২টি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। জাকার্তা থেকে পন্টিয়ানাক যাওয়ার বেশিরভাগ বিমানের যাত্রাপথ জাভা সমুদ্রের উপর দিয়ে গিয়েছে। নিখোঁজ বিমান সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মৎসজীবীরা সমুদ্রে শনিবার বিকেলে ধাতব টুকরো দেখে, যেগুলি বিমানের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। ন্যাশনল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির ডেপুটি চিফ বামবাং সূর্যো অজি বলেন যে, উদ্ধারকারী দল জেলেদের কাছ থেকে অভিযুক্ত ধ্বংসস্তূপ এবং কিছু পোশাক সংগ্রহ করেছে। যা জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযানে নিযুক্ত একটি জাহাজের কমান্ডার জানিয়েছেন যে জেলেরা ধাতব টুকরা পেয়েছিলেন যেখানে সেখান থেকেই দেহাংশ মিলেছে।