পাথর ছুঁড়ে মারার নিদান তালিবানের, ভয়ে আত্মহত্যা আফগান তরুণীর

বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালানোর শাস্তি হিসেবে পাথর ছুঁড়ে হত্যার নিদান দিয়েছিল তালিবানরা। এমন শাস্তি শুনে ভয়ে আত্মহত্যা করলেন আফগান তরুণী। আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এই ঘটনা থেকে সে দেশের মহিলাদের সামাজিক অবস্থান স্পষ্ট, বলেও মনে করছে অয়াকিবহাল মহল।

স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, ওই তরুণী একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই অভিযোগে তাঁকে চরম শাস্তি প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারার নিদান দেয় তালিবান প্রশাসন। সেই যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতেই আফগান তরুণী আত্মহত্যা করে বলে ওই দেশের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ওই তরুণী নিজের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। যে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর, ইতিমধ্যে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন।

ঘোরের তালিবান প্রাদেশিক পুলিশ প্রধানের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবদুর রহমান বলেছেন, আফগানিস্তানে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন কারাগার নেই। তাই, তাঁকে প্রকাশ্যে পাথর মারার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে নারীদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন প্রদেশে একাধিক এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এরপরই মেয়েদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা অথবা বেত্রাঘাতের মতো মধ্যযুগীয় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.