সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু নিয়ে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না এখনও। অনেকেই অভিনেতার এই অকাল মৃত্যুতে বলিউডকে দায়ী করেছেন। ডিপ্রেশনে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই ডিপ্রেশনের কারণ কী?
রাজনৈতিক নেতা সঞ্জয় নিরূপম একটী ট্যুইটে দাবি করেছেন, পরপর ৭টি ছবিতে সাইন করেচিলেন সুশান্ত। আর ৬ মাসে একের পর এক সেই সাতটি ছবি হাতছাড়া হয়েছে আভিনেতার।
তিনি লিখেছেন ছিছোঁড়ে ছবিএর সাফল্যের পরই ওই ছবিগুলিতে সই করেন সুশান্ত। কিন্তু সেগুলো পরপর হাতছাড়া হয় বলে অভিযোগ।
তিনি আরও লিখেছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নিষ্ঠুরত অন্যমাত্রায় কাজ করে। আর সেই নিষ্ঠুরতার জন্যই প্রতিভাবান শিল্পীদের মরে যেতে হয়।
এর আগে শেখর কাপুরও লিখেছিলেন যে তিনি জানতেন সুশান্ত কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
সুশান্তের মৃত্যুতে অনেকেই দায়ী করেছেন বলিউডকে। অনেক বলি তারকাই আঙুল তুলেছেন নেপোটিজমের দিকে। কেউ বলেছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ছেলে নয় বলে অনেক কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে সুশান্তকে।
তদন্তে সেসব প্রশ্নের উত্তর উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তাঁদের মধ্যে সবার আগেই নাম রয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। কারণ শেষের দিকে তিনিই অভিনেতার সবথেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন বলে মনে করা হয়।
এই ঘটনার পেশাগত কোনও শত্রুতা ছিল কী না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখও। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বই পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করবে।
একটী ট্যুইটে মন্ত্রী লিখেছেন, ‘পোস্টমর্টেম বলছে, সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছে গলায় ফাঁস দিয়ে। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, সুশান্তের ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের পিছনে ছিল পেশাগত শত্রুতা। মুম্বই পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করবে।
সোমবার মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৩৪ বছর বয়েসী এই অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দেওয়ার ফলে অ্যাসফিকসিয়া (asphyxia) ঘটায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরে বাড়িতেই নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন সুশান্ত। এদিন সুশান্তকে খুনের তত্ব উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রভিশনাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বান্দা পুলিশ স্টেশনে এদিন জমা দেন চিকিৎসকরা। তিন জন চিকিৎসকের একটি টিম সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্তরিপোর্ট বলছে অ্যাসফিকসিয়া (asphyxia)-র ফলেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। যা মূলত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ফলেই হয়ে থাকে।