গণবিক্ষোভে শ্রীলঙ্কায় উথালপাতাল পরিস্থিতি। প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন রনিল বিক্রমসিংহ। আর্থিক ভাবে ধুঁকতে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভের আগুন ক্রমশ চড়ছে। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবির স্বর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট পদে রাজাপক্ষে পদত্যাগ করলে শ্রীলঙ্কায় আগামী দিনে কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে?
মেয়াদ শেষের আগেই যদি প্রেসিডেন্ট পদে পদত্যাগ করেন গোতাবায়া, তা হলে পার্লামেন্টের এক সদস্যকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করতে হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্টের ইস্তফার এক মাসের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়োগ করতে হবে।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের তিন দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে অধিবেশন ডাকতে হবে। সেখানে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের কথা জানাতে হবে পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ক্ষণ জানাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে যদি এক জন মনোনীত হন, তা হলে তাঁর নাম ঘোষণা করতে হবে সেক্রেটারি জেনারেলকে। কিন্তু, যদি একের বেশি সদস্য এই পদের জন্য মনোনীত হন, তা হলে গোপন ব্যালটের আয়োজন করে এক জনকে নির্বাচিত করা হবে।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী, যত ক্ষণ না নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন, তত ক্ষণ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার কোনও এক সদস্য ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেই সময় দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।