পশ্চিমবঙ্গে স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী এবং সংবাদ মাধ্যমের অভাব নেই। তবে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভের পর থেকে রাজ্যজুড়ে যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়ে একটা শব্দ খরচ করতে রাজি নয় বুদ্ধিজীবীরা। অন্যদিকে সরকারি বিজ্ঞাপনের লোভে মিডিয়াও ঘটনাগুলিকে গুরুত্বের সাথে দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ। লক্ষণীয় যে পশ্চিমবঙ্গের অশান্তি নিয়ে কোনো সংবাদমাধ্যমকে “ঘন্টা খানেক..” ইত্যাদি কোনো ডিবেট অনুষ্ঠান করতে দেখা যাচ্ছে না। বহু হিন্দু লুঙ্গিবাহিনীর উপদ্রবে ঘর ছাড়া কিন্তু কোনো মিডিয়া অসহায় মানুষজনের একটা ইন্টারভিউ বা তাদের হয়ে আওয়াজ তোলার সাহস দেখাচ্ছে না।
অবশ্য ভারতের বুদ্ধিজীবী ও সংবাদমাধ্যম ঘটনাগুলিকে ধামাচাপা দিলেও পুরো বিশ্বে পশ্চিমবঙ্গের অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রুবার দিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের হিন্দুরা মমতা ব্যানার্জীর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিখ্যাত আমেরিকান লেখক রবার্ট স্পেন্সার পশ্চিমবঙ্গের অশান্তি নিয়ে মুখর হয়েছেন।
রোবার্ট স্পেন্সার লিখেছেন, নোয়াখালি দাঙ্গা, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং, দেশ ভাগ এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময় বাঙালি হিন্দুদের পলায়ন দেখা গিয়েছিল। আর তারপর থেকে এই পঞ্চমবার বাঙালি হিন্দুদের পলায়ন লক্ষ করা যাচ্ছে। রবার্ট স্পেন্সার তার জিহাদ ওয়াচতে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বানী ফলফল বেরোনোর পর হিংসা সাধারণ ঘটনা। তবে এবার তা ভায়নক রূপ ধারণ করেছে এবং হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রবিবার ২ তারিখ মমতা ব্যানার্জীর পার্টি তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করার পর থেকে রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বলেছেন বাংলায় যা ঘটেছে তা ১৯৪৬ সালের ক্যালকাটা কিলিং এর স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে।বহু বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। একই সাথে বেশকিছু মৃত্যু সাথে ধর্ষণের অভিযোগও সামনে এসেছে। লক্ষণীয়, বিজেপি নেতাদের এই হিংসার বিরোধিতা করে ধর্ণায় বসতে দেখা গেছে। যদিও বেশিরভাগ শুভচিন্তক মানুষের দাবি, ধর্নায় বসে কোনো লাভ নেই বরং কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।