করের হিসাবে নিয়ম বহির্ভূত আয়ের প্রমাণ পেতেই দলের প্রধানকে ছেঁটে ফেললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। রবিবার কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান নাধিম জাহাভিকে (Nadhim Zahawi) বরখাস্ত করে একটি বিবৃতি দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার নিয়মবিরুদ্ধ আয়ের হদিশ পাওয়া গিয়েছে জাহাভির হিসাবে। প্রসঙ্গত, আয়কর নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জাহাভির বিরুদ্ধে। তার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
রবিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিবৃতি দেন ব্রিটিশ (Britain) প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বলা হয়, নাধিম জাহাভিকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দল ও সরকার- দুই জায়গা থেকেই তাঁকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, একাধিক বার হিসাব বহির্ভূত আয়ের অভিযোগ উঠেছে ইরাকি বংশোদ্ভূত জাহাভির বিরুদ্ধে। প্রথম দিকে ভুল উত্তর দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মোকাবিলা করতেন তিনি। এমনকি শোনা গিয়েছিল, তদন্তকারীদের হুমকি দিয়ে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন কনজারভেটিভ দলের চেয়ারম্যান।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ঋষি ঘোষণা করেছিলেন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলবেন। তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত আয়ের অভিযোগ ওঠায় বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন সুনাক। তাই তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জাহাভিকে বরখাস্ত করে বিবৃতি দেন। প্রসঙ্গত, লিজ ট্রাস ও বরিস জনসনের মন্ত্রিসভাতেও মন্ত্রী ছিলেন জাহাভি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রকাশ্যে বরখাস্ত না করে জাহাভিকে ইস্তফা দিতে অনুরোধ করতে পারতেন সুনাক। কিন্তু জনমানসে নিজের ও দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই বরখাস্তের পথে হেঁটেছেন তিনি। দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবে না ব্রিটিশ সরকার, এই বার্তা দিতে চেয়েছেন সুনাক। তবে এই পদক্ষেপেও একেবারেই সন্তুষ্ট নয় ব্রিটেনে প্রধান বিরোধী দল। লেবার পার্টির তরফে বলা হয়েছে, যখন একাধিক সংবাদপত্রে জাহাভির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তখনই তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী দুর্বল বলেই দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ভয় পেয়েছেন।