বরিস জনসনের ইস্তফার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসবেন কে? সেই দৌড়ে এ বার নিজের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দিলেন ব্রিটেনের পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনক।
বরিস জনসনের ইস্তফার আগে একের পর এক পদত্যাগ করেছিলেন মন্ত্রিসভা থেকে পার্লামেন্ট— একাধিক সদস্য। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী নামের অন্যতম ‘চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার’ বা অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। ঘটনাচক্রে তার পরই যেন ইস্তফার প্লাবন বয়ে যায় ব্রিটেনে। অতঃপর, ইস্তফা দেন বরিস। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতার দৌড়ে নিজের নাম ঘোষণা করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। কনজারভেটিভ পার্টির নেতাই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ঋষি নিজের জন্য যে প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন তার নাম দিয়েছেন ‘রেডি ফর ঋষি’। সেখানে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেশের জন্য কী করতে চান, তার পাশাপাশি রয়েছে ঋষির মা-বাবার কথা। তাঁদের লড়াইয়ের কথা। ঋষির বড় হয়ে ওঠার কথা।
পুরোদমে লড়াইয়ে থাকার বার্তা দিয়ে সেই ভিডিয়োয় ঋষি জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেনের হৃত বিশ্বাস পুনরুদ্ধার, অর্থনীতিতে পুনরায় শক্তিসঞ্চার করে দেশকে একজোট করতে চান। প্রতিটি সন্তানকে একই অধিকার দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য ব্রিটেনকে বাসযোগ্য করে তুলতে চান তিনি। ঋষি বলেছেন, ‘‘এই সময়ের লাগাম হাতে ধরার জন্য কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। এবং সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।’’ দেশবাসীর কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘‘দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে আমার ভরসা দেশাত্মবোধ, স্বচ্ছতা এবং কঠোর পরিশ্রমে।’’
একাধিক টোরি এমপি ঋষির প্রার্থীপদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। ঋষিকে সমর্থন করে টোরি এমপিরা সেখানে নিজেদের মতামত টুইট করছেন। কমন্সের নেতা মার্ক স্পেনসার লিখেছেন, ‘ঋষিই সেই ব্যক্তি, যিনি পার্টি ও দেশকে একজোট করার ক্ষমতা রাখেন।’