অশান্ত হতে চলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পুরোপুরি অযোগ্য ও ব্যর্থ একজন ব্যক্তি। এই দাবি তুলে পথে নামতে চলেছে সেদেশের ডানপন্থী ধর্মীয় সংগঠন। উল্লেখ্য আর্থিক সংকটে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে পাকিস্তান। এর দায় এড়াতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী, এমনই দাবি ওই সংগঠনের।
বিক্ষোভ দেখাতে ২৭শে অক্টোবর থেকে দেশ জোড়া প্রতিবাদে নামতে চলেছে সংগঠনের সদস্যরা। ফলে নতুন করে বিপাকে ইমরান খান সরকার।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন জামিয়েত উলেমা এ ইসলাম ফজলের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান এই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, এই সংগঠনের পিছনে সমর্থন রয়েছে দুই বিরোধী দল পিএমএল-এন ও পিপিপিরও। একটি সম্মেলন ডেকে এই দুই দল ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার তোড়জোড় করছে। তাদের দাবি দেশ চালাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ইমরান খান।
ফলে পদে বসে থাকার কোনও যোগ্যতাই তার নেই। যে এক বছর ক্ষমতায় রয়েছে ইমরান খানের তেহরিক ই ইনসাফ, সেই গোটা বছর ধরেই অর্থসংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এই সরকার নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতা পেয়েছে, বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে এমনই দাবি ধর্মীয় সংগঠনের প্রধানের। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে বলে জানিয়েছে তাঁরা। ইসলামাবাদের ডেমোক্রেসি চক থেকে তাদের বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ২৫শে জুলাই যে নির্বাচন হয়েছিল, তা তাঁরা মানেন না বলেও দাবি করেন ফজলুর। এদিকে, ঘরে বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেশ চাপে ইমরান খান সরকার।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া একটি গোপন বৈঠক সেরেছেন। সেই বৈঠকে ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে উপস্থিত ছিলেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই বৈঠকের পরেই পাক সেনার সমস্ত বিভাগের কর্মী ও জওয়ানদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সব অফিসারদেরও এই একই নির্দেশ পাঠানো হয়। পাক সেনার ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন বা আইএসপিআর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার স্বার্থেই এই বৈঠক।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি তাই হয়, তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন বাদ দেশের প্রধানমন্ত্রী? বুধবার রাওয়ালপিণ্ডিতে জেনারেল বাজওয়া এই বৈঠক করেন। পাক ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান মোটেও নতুন ঘটনা নয়। ১৯৫৮, ১৯৬৯, ১৯৭৭ ও ১৯৯৯ সালে মোট চারবার এই দেশ সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী ছিল। উল্লেখ্য অর্থসংকটে ভুগছে পাকিস্তান৷ ২০১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সামরিক অস্ত্রকেনায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল এই দেশ৷
কিন্তু ২০১৯ সালে সেই বাজেট বরাদ্দ কোথায় দাঁড়ায়, সেইদিকেই নজর ছিল বিশ্বের৷ পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাইছে পাক সরকার। ইমরান বলেছিলেন যদি প্রত্যেক প্রবাসী পাকিস্তানি দেশকে ১০০০ ডলার করে অনুদান দেন, তবে খুব সহজেই এই এই অর্থ সংকটের মোকাবিলা করতে পারবে তাঁর দেশ৷ সেই টাকা কোনওভাবেই নয়ছয় হবে না আশ্বস্তও করেন তিনি৷