Paris Violence: প্যারিসে হত্যাকাণ্ড ঘিরে জাতিবিদ্বেষের রঙ! প্রতিবাদে উত্তাল শহরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি

শহরের কুরদিশ সম্প্রদায়ের ওপর শুক্রবারই প্যারিসে নারকীয় হামলা হয়েছে। সেখানে আততায়ীর হাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর শনিবার থেকে প্যারিসে ক্রিসমাসের ঠিক আগেই ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছে। সেখানে বারেবারে প্রতিবাদের আগুনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর দিকে যায়। বহু জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

শুক্রবার সেন্ট্রাল প্যারিসে কুরদিশ কালচারাল সেন্টার ও একটি রেস্তোরাঁর কাছে হামলা চলে। আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ৩ জন। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন জানিয়েছে, সে বিদেশীদের ঘৃণা করে। ফলে প্যারিসের বাইরে থেকে কেউ আসলে তাঁদের সে পছন্দ করে না বলে জানিয়েছে। ঘটনায় উঠে আসে জাতিবিদ্বেষের রঙ। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় প্যারিসে। প্রতিবাদে উত্তাল প্যারিসে হিংসা নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এএফপির খবর অনুযায়ী এই ব্যক্তি একটি পুরনো পিস্তল নিয়ে হানা দেয়। যেপিস্ত ওই সন্দেহভাজন অনেকবারই ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থএকে ২৫ টি কার্তুজ ভরা বক্স পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে একটি গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন। অদিকে, প্যারিসে ওই হামলার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্রিসমাসের আগে স্বপ্নসুন্দর শহর প্যারিসে এই হামলার জেরে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। একাধিক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সেখানে কীভাবে মুহূর্তে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বর্ষশেষের উৎসব ও বড়দিনের আগে প্যারিসে এমন গুলি চালনার ঘটনা ঘিরে বেশ ত্রস্ত এলাকাবাসী। এদিকে শনিবার কুরদিশ সম্প্রদায়ের মানুষ স্থানীয় ‘প্রেস দেলা রিপাবলিক’এ গিয়ে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। সেই শ্রদ্ধা অর্পণের গোটা পর্বই ছিল শান্তিপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.