জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ব শাসন লোপ পাওয়ায় সবচেয়ে যদি কেউ খুশি হয়ে থাকেন তবে তারা হলেন নিজ ভূমি কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হওয়া কাশ্মীরী পণ্ডিতেরা| রাতারাতি মুসলিমদের ভয়ে নিজেদের সম্ভ্রম ও ধর্ম রক্ষার্থে নিজেদের সব কিছু ছেড়ে সেদিন তারা ছড়িয়ে পড়েছিলেন নানা জায়গায় | সেই দগদগে ঘায়ে প্রলেপ পড়ল যখন মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ধারা লোপের মাধ্যমে তাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অন্তর্ভূক্তি ঘটালো | সেদিন থেকেই তারা আবার তাদের জমি ফিরে পাবার আশা করছিলেন |
সেই আশার পদধ্বনি শোনা গেল বিদেশের মাটিতেও | যেদিন ভারতের নানা স্থানে কাশ্মীর পন্ডিতেরা তাদের সেই বিতাড়নের কালো রাতের স্মৃতি রোমন্থন করছেন, তখন সুদূর মার্কিন মুলুকের কমপক্ষে ১২টি জায়গায় প্রবাসী কাশ্মীরী পণ্ডিতেরা জমায়েত হয়েছিলেন তাদের সে রাতের অভিজ্ঞতা বলার জন্য | নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলস, সব জায়গাতেই উঠএ এসছিল সেদিন পাকিস্তানের মদতে হওয়া নিষ্টুর অত্যাচারের কথা | কীভাবে তাদের মা বোনেদের উপর অত্যাচার হয়েছিল .কী সাংঘাতিক য্ন্ত্রণায় তারা ভিটেমাটি ছেড়েছিলেন তা এখনও ততটাই সাবলীল ভঙ্গীতে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন ওই সকল প্রবাসী কাশ্মীরীরা |
কাশ্মীর থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের কাজ সুকৌশলে চললেও ১৯৯০ এর ১৮জানুয়ারি এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় যাতে সেদিন ও রাতেই উপত্যকার ৯০শতাংশ হিন্দু ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় | প্রবাস থেকে এদেশ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশ্মীরী পণ্ডিতেরা আজ বুক বেঁধেছেন | তারা ফিরে যাবেন তাদের ছেড়ে আসা ঘরে | তাই ১৯শে জানুয়ারির আগে থেকে এমনকি ১৯শে জানুয়ারির পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমানভাবে সক্রিয় ‘ঘর বাপস যায়েঙ্গে হাম”ট্রেন্ড | যা পড়লেই বোঝা যায় মোদি সরকারকে ভর করে কতটা বুক বেঁধেছেন সেই সব কাশ্মীরী পণ্ডিতেরা |