ভারতের চন্দ্রাভিযান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞানমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইসরোর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানালেন পাকিস্তানের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী নামিরা সালিম। পাকিস্তান বিজ্ঞানমন্ত্রীর মতকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান নভশ্চর বলেন, ইসরোর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রাভিযানে সাফল্য একটুর জন্য বাধ সাধে। চাঁদে পা দেওয়ার পূর্ব মহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে। তবু চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযানের প্রচেষ্টা প্রশংসা পেয়েছে নাসারও। এদিন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চন্দ্রযান ২ বলতে গিয়ে ইসরোকে শুভেচ্ছা জানান নামিরা। তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ইসরোর এই অভিযান একটি বিরাট পদক্ষেপ। এর ফলে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বই লাভবান হবে। সেই কারণে নাসাও ইসরোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। ইসরোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছে নাসা। তারপর প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের মহাকাশচারীর প্রশংসা কুড়িয়ে নেওয়াও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে।
পাকিস্তানের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী নামিরা মাউন্ট এভারেস্টে স্কাইডাইভ করেছিলেন। তিনি ইসরোর প্রশংসা করে বলেন, যে উদ্যোগ নিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, তা শুধু একটা দেশের বিষয় নয়, গোটা বিশ্বই এর ফলে উপকৃত হবে। ইসরো অনেকাংশে সফল হয়েছে। যদি ১০০ শতাংশ সফল হতে পারত, তবে উপকৃত হত সারা বিশ্ব।