জ্বলছে পাকিস্তান! রাতে সাময়িক বিরতির পর ইসলামাবাদে সমাবেশের ডাক ইমরানের দলের

মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তার পর থেকেই পথে নেমেছেন তাঁর সমর্থকেরা। চলছে ভাঙচুর, সরকারি দফতর ঘেরাও। পরিস্থিতি এমনই যে, ইমরান সমর্থকদের রোষের হাত থেকে রেহাই পেল না পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দফতরও। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরের ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকতে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকেরা। শুধু রাওয়ালপিন্ডিই নয় পেশোয়ারের সেনা শিবির এবং লাহোর, করাচির সেনা নিবাসেও হামলায় হয়। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ইমরানকে বুধবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজির করানো হচ্ছে না। তার বদলে যেখানে তাঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, সেখানেই শুনানি হবে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ইমরানকে আপাতত ৪-৫ দিন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) হেফাজতে রাখা হবে। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে (ইমরান) অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন হেফাজতে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করবে।’’

এ দিকে ইমরানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে যে বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। রাতে সাময়িক বিরতির পর বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ইসলামাবাদে তাঁর সমর্থকদের জড়ো হতে নির্দেশ দিয়েছে পিটিআই। ইসলামাবাদে এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ইমরান মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিটিআই রাস্তায় থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে নতুন করে গোলমাল বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাকিস্তানের কোয়েট্টা, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরাল হয়ে উঠেছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.