প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সুবিচার পাননি পুলওয়ামা হামলায় (Pulwama terror attack) শহিদ ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের পরিবার। এর মধ্যে গোটা দুয়েক চার্জশিট পেশ হয়েছে। কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তারও হয়েছে। তবে, এই ঘটনার তদন্তে তেমন বড়সড় অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার সেই নৃশংস জঙ্গিহানার পর্দাফাঁস করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়ে ৫ হাজার পাতার চার্জশিট পেশ করতে চলেছে NIA। সূত্রের খবর, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ-সমেত পুলওয়ামা হামলায় অভিযুক্তদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যে তালিকায় নাম আছে, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহার (Masood Azhar) এবং তার ভাই রাউফ আসগরের (Rauf Asghar)।
এনআইএ সূত্রের খবর, পুলওয়ামা হামলা নিয়ে এতদিন পাকিস্তানে যে মিথ্যাচার করে আসছিল তার পর্দাফাঁস হবে এই চার্জশিটে। হামলায় ব্যবহৃত RDX যে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল, তার প্রমাণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে চলেছে। সেই সঙ্গে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের প্রমাণও পেশ করবে এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মোবাইলে তোলা ভিডিও, ফোনের কললিস্ট-সহ বহু প্রমাণ এনআইয়ের কাছে চলে এসেছে। এনআইয়ের তনন্ত অনুযায়ী, এই হামলা পুরোটাই জইশ (Jaish-e-Mohammed) নেতাদের মস্তিস্কপ্রসূত।
ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় মাসুদ আজাহার, রাউফ আসগরের-সহ প্রায় ২০ জনের নামে আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হল
আদিল আহমেদ দার: পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে এই আদিল আহমেদ দারই আত্মঘাতী হামলা চালায়।
উমর ফারুক: জইশের এই কম্যান্ডারের উপর পুরো হামলার তত্ত্বাবধানে ছিল। বিস্ফোরক পাকিস্তান থেকে আনানোর ব্যবস্থাও সেই করেছিল। কাশ্মীরেই বসবাস করত সে। ঘটনার মাসখানেক বাদে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে।
শাকির বসির মারগ্রে: হামলাকারী গাড়িটির চালক। তবে ঘটনাস্থলের ঠিক ৫০০ মিটার আগে সে গাড়ি থেকে নেমে পালায়। এর বাড়িও কাশ্মীরে।
মহম্মদ ইকবাল: পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিদের সীমান্তরেখা থেকে নিরাপদ স্থানে সরানোর দায়িত্ব ছিল এর কাঁধেই। উমর ফারুক-সহ কয়েকজন জঙ্গির নিরাপদ আস্তানার ব্যবস্থা করেছিল। এবছর জুলাই মাসে সে গ্রেপ্তার হয়েছে।
বিলাল আহমেদ কুচে: এই গোষ্ঠীর সঙ্গেই যুক্ত। এর কেনা মোবাইলেই হামলার ভিডিও ফুটেজ তুলে পাকিস্তানে পাঠায় জঙ্গিরা। এরা ছাড়াও লস্করের কয়েকজন স্থানীয় কর্মীর নাম থাকছে চার্জশিটে।