এমনিতেই পেঁয়াজ থেকে গরুর মাংস, ডিম থেকে লবনের দাম মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। ওইসব পণ্যের জন্য ভারতের উপরে এনেকটাই নির্ভরশীল তারা। এবার রমযানের মধ্যে ঘোর বিপাকে পড়তে চলেছে আমাদের পদ্মপারের প্রতিবেশী। কারণ ২৩ মার্চ ভারতের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল কেন্দ্র।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে গত ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ। শনিবার ফের বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই রফতানি বন্ধ থাকবে। ভারতের ওই নিষেধাজ্ঞার জন্য এই রোজার সময় বেশ খানিকটা বিপাকে পড়তে চলেছে হাসিনা সরকার। ফলে পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনও চিন্তার বিষয়।
এদিকে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মহলের ধারনা, খুব শীঘ্রই হয়তো ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে ভারত। কারণ ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা থাকারা ফলে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। পাশাপাশি ভারতের ইতিমধ্যেই পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। ফলে ফসলের দাম পেতে পেঁয়াজ রফতানি করতে হবে ভারতকে।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও গত ৪ মার্চ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করার অনুমতি দেয় ভারত। এতে খানিকটা স্বস্তি পায় হাসিনা সরকার। বিশ্বের অন্যতম বড় পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশ-সহ মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আমিরশাহি ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ফলে ভারতের ব্যবসা যেমন একদিকে ধাক্কা খাবে তেমনি ভুগতে হবে হবে ভারতের উপরে নির্ভরশীল বাংলাদেশের মতো দেশকেও।