রাইনায়ার ( Rainaia)বিমান সংস্থা ইউরোপের (Europe) প্রতি ঘরে ঘরে। স্বল্প খরচে ইউরোপ ভ্রমণের যে ভাবনা রাতারাতি বদলে দিয়েছিল মানুষের জীবনযাত্রা সেই জনপ্রিয়তা আজও অটুট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই লো বাজেট ফ্লাইটের সি ই ও মাইকেল ও ল্যারিও সমানভাবেই প্রসিদ্ধ তার কীর্তির পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য। সম্প্রতি টাইমস ম্যাগাজিনকে (Times Magazine) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ।
বোমারু কারা? বিমান বন্দরের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নের উত্তরে ও ল্যারিও বলেন, ” সাধারণভাবে দেখা যায় একা ভ্রমণ করছে এমন ব্যাক্তি বোমারু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সেটা কখনই কোন বিমান সংস্থার কর্মীরা বলতে পারবেন না ।
আমি যে কথা এখন বলব তাতে আমাকে জাতিবিদ্বেষীমনে হতে পারে। দেখা গেছে বিমানবন্দরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণের ঘটনায় মুসলিমদের নামই জড়িয়েছে। তাই এদের মধ্যে এই প্রবণতা আছে বলে মনে করি ।
মুসলিম সম্প্রদায়ের একা ভ্রমণ করা মানুষের জন্য আলাদা ভাবে সিকিউরিটি চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত বলেও মতপ্রকাশ করেন সিইও ।
পাশাপাশি বলেন,আমি মনে করি যারা পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করছেন তাদেরকে এইসব চেকিং য়ের থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। কারণ বোমে কেউ তার পরিবারকে ওড়াতে চাইবে না ।
এই মন্তব্যের পর লন্ডনের এক সাংসদ মাহমুদ খালিদ (Mahmoud Khalid) বলেন, ” এটি খেলার মত নয় সব মুসলিমই সন্ত্রাসবাদী এটা মনে করার মানে ধর্মের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করা। রাইনায়ার বিমান সংস্থার সিইও-র এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মুসলিম বিমানযাত্রীরা এই বিমান সংস্থাকে বয়কটের ডাক দিয়েছে। অনেকে তাকে ইসলামোফোবিক তকমাও এঁটেছেন এর পর। প্রসঙ্গত এর আগেও তিনি সন্ত্রাসের প্রসঙ্গেই মুসলিম আততায়ীদের গুলি করে মেরে ফেলার নিদান দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন ।