আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায় যে, কেরলের বাসিন্দা মোহম্মদ মুহাসিন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকার ড্রোন হামলায়। ভারতীয় এই যুবকের মৃত্যু আফগানিস্তানের ননগরহার প্রান্তে হয়েছে। কেরলের মল্লপুরম জেলার ইডাপ্পল শহরের বাসিন্দা মোহম্মদ মুহাসিন এর মৃত্যু পাকিস্তানের আইএস এই কম্যান্ডার হুজেফা আল-বাকিস্তানি এর সাথে হয়েছিল। পাকিস্তানের এই আইএস কম্যান্ডার ভারতে ১৮ ই জুলাই থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএস এ ভর্তি করাচ্ছিল।
কেরল পুলিশ আর গোয়েন্দা সংস্থা এর আধিকারিকদের অনুসারে মুহাসিন এর মৃত্যুর ব্যাপারে তাঁর পরিবারকে ২৩ জুলাই আফগানিস্তানের একটি নাম্বার থেকে সূচনা দেওয়া হয়েছিল। মুহাসিনের মৃত্যুর পর আবারও কেরল থেকে আইএস এর যোগ স্পষ্ট ভাবে উঠে আসছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ জানা গেছে যে, ১৫ জুন পর্যন্ত আনুমানিক ৯৮ জন যাদের মধ্যে ৪০ পুরুষ, ২১ মহিলা আর ৩৭ জন বাচ্চা আফগানিস্তানে গিয়ে আইএস এ যোগ দিয়েছে। এদের মধ্যে ৫৯ জন এখনো আইএস এর কবজায় আছে। এদের মধ্যে অনেক বাচ্চাও আছে, যাদের পরিবার দক্ষিণ এশিয়ার রুট দিয়ে আফগানিস্তান গেছিল।
এদের পরিবার আফগানিস্তানের পূর্ব প্রান্তে থাকত। এরা খাইবার বোলন এর রাস্তা দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। আরেকদিকে কেরলের কন্নুর জেলা থেকে ৩৯ জন আইএস এর খোরাসান ইউনিটে যোগ দিয়েছে। যাদের মধ্যে ১৫ জনের যুদ্ধের সময় মৃত্যু হয়েছে। কাসরগোড, কোঝিকড়, মল্লপুরম, পল্লকড, এর্নাকুলম আর ত্রিশুর জেলা থেকে আইএস এ যুবক রিক্রুইট করা হয়।
কাসরগোড এর ১০, কোঝিকড় এর ২, মল্লপুরম এর ৯ আর পলক্কড এর তিনজনের আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুত্র অনুযায়ী, কন্নুর এলাকায় সবথেকে বেশি আইএস এ যোগ দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সেখানকার ৪৮ জন পশিমি এশিয়া আর তুর্কি এর রাস্তা দিয়ে আইএস এ যোগ দিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন আবার অনুপ্রবেশ করতে বাধা পায়। সাত জনকে তুর্কিতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ৩৯ জন আইএস এর খোরাসন ইউনিটে পৌঁছাতে সফল হয়।