দু’দিন আগেই মহাকাশবিজ্ঞানীরা প্রথম প্রকাশ করেছেন ব্ল্যাকহোলের ছবি। এই ছবি পাওয়া এ যুগের সেরা মহাজাগতিক আবিষ্কারগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এই আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছেন এক তরুণী বিজ্ঞানী। ব্ল্যাকহোলের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই কার্যত সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছন তিনি।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) স্নাতক কেটি বাউম্যান, মহাকাশবিজ্ঞানীদের সেই বিশেষ দলের অন্যতম মুখ, যাঁরা ব্ল্যাকহোলের চিত্র লেন্সে বন্দি করেছেন। কেটি ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “কৃষ্ণ গহ্বরের যে ছবিটি আমি দেখতে পেয়েছি, তার পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার দিকে অবিশ্বাস্য ভাবে তাকিয়ে রয়েছি।”
কেটি বাউম্যানের কৃতিত্ব বর্ণনা করেছে তাঁর কলেজও। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “তিন বছর আগে, এমআইটি স্নাতক ছাত্রী কেটি বাউম্যান কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম চিত্রটি তৈরি করার জন্য একটি নতুন অ্যালগরিদম তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।” অনলাইনে সারা বিশ্বের মানুষ, কেটিকে অভনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্ষেত্রে আরও মহিলাদের অংশগ্রহণের জন্য সরব হয়েছে।
জাতিসংঘের মহিলারা কেটি বাউম্যানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং লিখেছেন, “কেটির মতো আমাদের আরো #WomenInScience দরকার।”
গোটা টিমের ছবিও শেয়ার করেছেন কেটি।
ব্ল্যাক হোলের ছবিটিতে কৃষ্ণ গহ্বরের চার পাশে আলো এবং অন্ধকারের সীমান্ত দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ইভেন্ট হরাইজন। এটি হল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন। অর্থাৎ, যেখানে ব্ল্যাক হোলের মাধ্যাকর্ষণ এতই চরম হয়ে যায় যে, প্রবেশ করে গিয়েছে এমন কোনও কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না।
দেখুন, কেটি কী বলছেন এ বিষয়ে।