ফ্রান্সের ন্যাশলিস্ট পার্টির নেত্রী মেরিন লে পেন’কে নিয়ে এখন সংবাদ মাধ্যমে বেশি চর্চা হচ্ছে। তিনি শুরু থেকেই ফ্রান্সের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। ফ্রান্সের ডনাল্ড ট্র্যাম্প বলে খ্যাত এই নেত্রী মনে হয় আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন। বাইরের লোকের জন্য ফ্রান্সে আশ্রয় পাওয়া এরপর থেকে কঠিন হয়ে যাবে। ফ্রান্স ইতিমধ্যেই আফ্রিকা, আরবের কিছু দেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মেরিন লে পেন আসলে ভারতীয়রাও হয়ত ফ্রান্সে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। এদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতির ব্যাপক পতনের কারণে অনেক পাকিস্তানীরা আশা করেছিলেন ইউরোপে গিয়ে হয়ত কাজ পাওয়া যাবে। তবে ফ্রান্সে যদি মেরিনের মতো চরম জাতীয়তাবাদী ও অভিবাসন বিরোধী নেত্রী ক্ষমতায় এসে যান তাহলে গোটা ইউরোপে তার প্রভাব পড়বে। দেখা যাচ্ছে মেরিনের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। এদিকে হল্যান্ডেও অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করার কারণে কোয়ালিশন সরকারের পতন ঘটেছে। নতুন অভিবাসন নীতিতে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া বাইরের দেশের লোকদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আমি আগেও লিখেছি যে গোটা ইউরোপের ইমিগ্রেশন পলিসি পরিবর্তন হতে চলেছে। মেরিন লে পেনের মতো নেতানেত্রীদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন জনগণ। কারণ ফ্রান্সের ঘটনার পর গোটা ইউরোপ এই নিয়ে চিন্তিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে পোল্যান্ডে কোন সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটে না। তাই পোল্যান্ডের অভিবাসন নীতির প্রশংসা হচ্ছে সর্বত্র। জিনিসটা ভারতীয়দের জন্য প্রীতিকর হবে না। এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার একটা বড় অংশ আসে রেমিটেন্স মানি থাকে। ওখান থেকে ছাটাই খেয়ে দেশে ফিরে আসলে এর প্রভাব পড়বে এই দুটি দেশে। ভারতে এর প্রভাব পড়লেও সেটা খুব বেশি হবে না। কারণ ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার খুব কম অংশই রেমিটেন্স থেকে আসে।
✍️রজত কান্তি দাস