শারদোৎসবে নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে নিরাপত্তার কোনও ফাঁক থাকছেন না। চলছে অভিযান। সেরকমই এক অভিযানে ধরা পড়ল ওসামা বিন লাদেন ঘনিষ্ঠ দুই জঙ্গি। ধৃতেরা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ (হুজি-বি) সংগঠনের শীর্ষ নেতা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের দাবি, রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হুজি-র তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম আসাদুল্লাহ। সে বেশ কয়েকবার আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন ও তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছে।
লাদেন ও মোল্লা ওমর দু জনেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় সর্বচ্চো আলোচিত নাম। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধৃতদের নাম আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার, বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ও নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম।
ঢাকা পুলিশ জানাচ্ছে, আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ হুজি সংগঠনের প্রথম দিকের জঙ্গি। ১৯৯৬ সালে গঠিত হরকাতুল জিহাদ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। বিভিন্ন নাশকতার মামলায় জড়িয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়েছিল আসাদুল্লাহ। একবার পাকিস্তানেও গিয়েছে এই জঙ্গি নেতা।
জেরায় উঠে এসেছে, আসাদুল্লাহ বাংলাদেশ ফিরেছে গত মার্চ মাসে। তারপরেই নতুন করে হুজি-বি সংগঠনকে চাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করছিল। সংগ্রহ করা হচ্ছিল নতুন জঙ্গি।
গ্রেফতার হওয়া অপর দুই জঙ্গি নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম হুজি সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এলাকার সেক্রেটারি। আর বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে ছিল। তারা ভারতের কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল।
এক নজরে হুজি বাংলাদেশ:
হুজি-বি নামেই পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন। ১৯৯০ সালে এটি বাংলাদেশে তার শক্তি বাড়ায়।
২০০১ সালে বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকার রমনা বটমূলে সঙ্গীতানুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। সেই হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৪ সালে ঢাকায় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। সেই নাশকতা ঘটিয়েছিল হুজি-বি।
সেই মামলায় চূড়ান্ত রায়ে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যোগসাজসে উঠে এসেছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের নাম। তিনি পলাতক। গ্রেফতার হয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।