আর কোন রকম ছায়া যুদ্ধ নয়। এবার সরাসরি হুঙ্কার। মসজিদের মাথায় লাল পতাকা উড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল ইরান। আগেই হুশিয়ারি দিয়েছিল ইরানের রাষ্ট্রপতি রোহানি। আমেরিকার নিকেষ করেছে রেভলিউশনারি গার্ড ক্রপসের কাদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে। তারপরই রোহানি বলেছে এই হত্যার জন্য আমেরিকাকে বড় মূল্য চোকাতে হবে। আমেরিকার হুমকি পাত্তা দেয়নি। সোলেমানি শেষ যাত্রার আগে দ্বিতীয়বার হামলা চালিয়ে আরো ৬ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা কে শেষ করে আমেরিকা। আর তারপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে তেহরান। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। আর তারই ইঙ্গিত তারা স্পষ্ট করল মসজিদের মাথায় লাল ঝান্ডা উড়িয়ে।
ইরানের জামকরণ মসজিদের মাথায় লাল ঝান্ডা উড়তে দেখা গেছে। এর অর্থ দেশের জনগণকে ইরান যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে বলছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে যা জো্যকারম মসজিদের মাথায় লাল ঝান্ডা উড়ছে। সাধারনত ওই মসজিদের মাথায় দেখা যায় ধর্মীয় পতাকা। কিন্তু মসজিদের মাথায় লাল ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়ার মানে যুদ্ধ ঘোষণা করা। এর আগে যখন ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।তখন ঐ মসজিদের চূড়ায় লাল ঝান্ডা উড়েছিল। হোসেন সাহেব কারবালার যুদ্ধের সময় মসজিদের উপর লাল ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন। লাল রঙ রক্ত ও ত্যাগের প্রতীক। তাই সুলেমানের মৃত্যুর পর বদলা নেওয়ার জন্য ইরানের পতাকা মসজিদের উপর উড়িয়েছে তারা।
ইরাকের এলিট রেভিলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার আবু হামজা জানিয়েছেন, মার্কিন সেনার ৩৫ ঘাঁটি তাদের নজর রয়েছে। আমেরিকা যদি আর কোনরকম আর বাড়াবাড়ি করে তাহলে ওই ৩৫টি ঘাঁটি গুঁরিয়ে দেবে তারা। এই ৩৫টি ঘাঁটির বেশিরভাগই খনিজ তেলের সম্ভারের মাঝে অবস্থিত।