আফগানিস্তানের গজনিতে সোমবার একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। সেই বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে ক্রমশ বিভিন্ন মহল থেকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল এটা আরিয়ানা এয়ারলাইনস এর যাত্রীবাহী বিমান। পরে এয়ারলাইন্স কোম্পানী তাদের কোনো বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে সেটা অস্বীকার করে। ইরানের একটি নিউজ ওয়েবসাইটে দাবি করা হয় যে দুর্ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা মাইকেল ডি’আন্দ্রিয়াও মারা গেছেন ।
মনে করা হয় যে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসিম সুলেমানি হত্যার পরিকল্পনায় ডি’আন্দ্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইরাক, ইরান ও আফগানিস্তানে মার্কিন গোয়েন্দা অভিযানের প্রধান ছিলেন ডি’আন্দ্রিয়া ।
ইরানের ওয়েবসাইট ‘মেহের নিউজ’ রাশিয়ার গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে এই খবর জানিয়েছে যে সিআইএ কর্মকর্তারাও বিমানটিতে ছিলেন। প্রসঙ্গত মার্কিন বায়ুসেনার একটি বিমান তালিবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। পরে পেন্টাগনও স্বীকার করেছে যে বিমান বাহিনীর ই -১১ নজরদারি বিমান আফগানিস্তানের তালিবান-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ধ্বংস হয় ।
কিন্তু আমেরিকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে এ জাতীয় কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি, যাতে মনে করা যায় কোনও শত্রুহামলা এই বিমান ধ্বংসের কারণ। তবে তালিবানরা দাবি করেছে তাদের হামলাতেই বিমান ধ্বংস হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতে, বিমানটিতে কত জন লোক ছিল এবং কত জন লোক মারা গিয়েছিল তা প্রতিরক্ষা বিভাগ কখনই বলতে চাইবে না। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট টুইট করেছেন যে মামলার তদন্ত চলছে এবং তথ্য পাওয়ার পরে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে ।