ভারত সফরে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। সেই বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্লিনকেন বললেন, ‘ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের ভিত্তি হল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। ২০০৬ সালে সেনেটর থাকাকালীন জো বাইডেন যখন ভারত সফরে এসেছিলেন সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে ২০২০ সালের মধ্যে আমেরিকার সবথেকে বড় বন্ধু হবে ভারত। সেই কথা আজ আমার মনে পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্কি আমেরিকার আছে তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুব দেশের সঙ্গেই আছে। আমাদের দেশের বৈচিত্র আমাদের দেশের শক্তি বৃদ্ধি করে।’
এদিকে এদিন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আচোলনা ছাড়াও আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। এদিন ব্লিনকেন দাবি করেন, জোট শক্তি বাহিনী প্রত্যাহার করার পর আমেরিকা ভারতের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি এদিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে মার্কিন সফরের আমন্ত্রণ জানান ব্লিনকেন।
এদিন ব্লিনকেন জানান যে তালিবানের এই অগ্রযাত্রার দেখে তিনি উদ্বিগ্ন। তবে ব্লিনকেনের বক্তব্য, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কোনও সামরিক সুরাহা নেই। শান্তুপূর্ণ সমাধানসত্র বের করতে হবে। তালিবান এবং অফগানিস্তান সরকারকে আলোচনার টেবিলে বসে কথা বলতে হবে একে অপরের সঙ্গে। এই আলোচনায় আফগানিস্তানকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’ এদিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘২০ বছর পর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে, তখন ভালো হোক বা বাজে, এর প্রতিক্রিয়া হবে।’ পাশাপাশি আফগানিস্তানে পাকিস্তানি হস্তক্ষেপ নিয়েও ইসলামাবাদকে এদিন খোঁচা দেন জয়শঙ্কর।
এদিকে চিনকে বার্তা দিতে এদিন কোয়াড প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ব্লিনকেন। বলেন, ‘কোয়াড ৪টি সমমনোভাবাপন্ন দেশের জোট। একসঙ্গে বিশেষ কিছু ইস্যু নিয়ে আমরা কাজ করি।’ এদিকে কোভিড নিয়েও দুই নেতার মধ্যে এদিন আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ রক্ষা নিয়েও বৈঠকে কথা বলেন জয়শঙ্কর এবং ব্লিনকেন।