মঙ্গলবার আর্মি ডে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এই অনুষ্ঠানে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তিনি। যা শুনে রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগার দেশের সাধারণ মানুষের। আর্মি ডে অনুষ্ঠানেই তিনি জানালেন, পাকিস্তান এবং চিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। আর তাই তাঁরা যৌথভাবে যে ষড়যন্ত্র করছে, তা উপেক্ষা করা যাবে না’। তিনি আরও বলেন, ‘লাদাখে আমাদের সেনারা অনেক এলাকায় টহল দিচ্ছে। এই শীতেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এলাকা। সেখান থেকে সেনা সরানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই’।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে এক চৈনিক সেনা জওয়ানকে আটক করেছিল টহলরত ভারতীয় সেনা। যদিও চিন দাবি করে অন্ধকারে পথ ভুল করেই সে ভারতে ঢুকে পড়ে। শেষে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাঁকে ফেরত পাঠায় ভারত। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী যে সদা সতর্ক রয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে সেনাপ্রধান নরবানে এদিন যথেষ্ট উদ্বেগের সুরে বলেন, পাকিস্তান ও চিন ক্রমাগত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ভারতের কাছে। তাঁদের ষড়যন্ত্র একেবারেই হেলাফেলা করা উচিত হবে না। সেনাপ্রধান আরও ইঙ্গিত দেন, ভারতকে একমুখী নয়, দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিনের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এরপরই দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি হয়। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল দু’দেশের সেনা। তারপর থেকে আজও অবস্থার উন্নতি হয়নি লাদাখের। মাইনাসের নীচে থাকা তাপমাত্রায় দু’দেশের সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোতায়েন রয়েছে লাদাখে। এই অবস্থায় সেনাপ্রধানের বক্তব্যে আবার নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল কূটনৈতিক মহলে। যদিও সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আর লাদাখ নিয়ে চিন যদি আলোচনার টেবিলে সব মিটিয়ে নেয়, তা হলে স্বাগত। কিন্তু পালটা প্রত্যাঘাত করতেও ভারতীয় সেনা প্রস্তুত।