দিল্লির দাঙ্গাকে গণহত্যা বলছেন বিরোধীরা। বলছেন একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যাকে নাকি দাঙ্গার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা বলেছেন এ ঘটনা যখন ঘটেছে পুলিশ তখন কোনো ব্যবস্থা নেয় নি এবং আক্রান্ত হয়েছেন মুসলিমরা। আনন্দবাজার পত্রিকা এক ধাপ এগিয়ে এ-ও বলেছে যে পুলিশও নাকি হিন্দুত্ববাদী উন্মত্ত জনতাকে হিংসা প্রর্দশনে সাহায্য করেছিল। বিরোধীরা আরও বলেছেন যে উস্কানিমূলক মন্তব্য যাঁরা করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।
উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীটি সঙ্গত। সেটি হওয়া উচিত ঘটনার ক্রম অনুসারে এবং বৈষম্যহীনভাবে। গত ১৪ই ডিসেম্বর সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দিল্লির জনগণকে রাস্তায় নেমে “ইসপার ইয়া উসপার কি লড়াই” লড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দেশের প্রধান বিরোধী দলনেত্রী যদি খোলা মঞ্চ থেকে জনগণকে রাস্তায় নামতে বলেন, তবে তৎক্ষণাৎ প্রমাণিত হয় যে দেশের সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট ইত্যাদি সমস্ত গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তিনি অস্বীকার করেছেন। ওঁর এমত বক্তব্য যদি কংগ্রেসের অনুগামীদের কাছে দেশের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের আহ্বান হিসেবে প্রতীত হয়ে থাকে, তবে সেই লোক ক্ষেপানোর দায় কি নেত্রীর ওপর বর্তানো উচিত নয়? প্রিয়াঙ্কা (Priyanka) ও রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) , আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানাতুল্লাহ্ খান ও এআইমিমের ওয়ারিশ পাঠানের বক্তব্যও উস্কানিমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রলাপই ছিল। কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ ভার্মাদের বক্তব্য আসার আগেই আরও বহু বক্তব্য বাজারে এসে গিয়েছিল। ফলে দিল্লির দাঙ্গার জন্য কে দায়ী তা পক্ষপাতহীনভাবে আন্দাজ করতে গেলে পূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ সময়ের ক্রম অনুসারে সাজানো আবশ্যক।
১. সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) উত্তেজক বক্তব্য: ১৪ই ডিসেম্বর, ২০১৯, দিল্লি (Delhi)
২. শাহীনবাগ গণ-অবস্থান-প্রতিবাদের আরম্ভ: ১৪ই ডিসেম্বর দুপুর, কালিন্দীকুঞ্জ, দিল্লি (Delhi)
৩. আমানাতুল্লাহ খানের সভার পর দিল্লির জামিয়া নগরে হিংসাত্মক ঘটনা: ১৫ই ডিসেম্বর
৪. সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদে উন্মত্ত পাথরবাজি ও দাঙ্গা: সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত সিলমপুর, দিল্লি (Delhi) , ১৭ই ডিসেম্বর
(১লা জানুয়ারী দিল্লি (Delhi) পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এই সিলমপুর ও পূর্ব দিল্লির সীমাপুরীর হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সংযুক্ত থাকার প্রমাণ পায়)
৫. উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে সিএএ (CAA) -বিরোধী সভায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের আত্মীয়কে ৫লাখ টাকা করে অর্থসাহায্য দিতে চান দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানাতুল্লাহ্ খান (Amanatullah Khan) — ২১শে ডিসেম্বর, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে বিপজ্জনক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ
৬. CAA নিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গাজিয়াবাদে আমানাতুল্লাহ্ খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের— ২৩শে ডিসেম্বর
৭. শাহীনবাগের মঞ্চ থেকে কুরবানীর আহ্বান জানিয়েছেন, নিজেও এই উপলক্ষে যে কোনো কুরবানী দিতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন এবং ভারতসরকারকে ‘কাতিল’ বলে দাগিয়ে দিয়ে বলেছেন তিনি দেখতে চান কাদের জোর বেশি, শাহীনবাগ মঞ্চের, নাকি ‘কাতিল’দের: মণিশঙ্কর আইয়ার—১৪ ই জানুয়ারি
৮. দিল্লি (Delhi) নির্বাচনকে ইণ্ডিয়া বনাম পাকিস্তান বলেন: কপিল মিশ্র (Kapil Mishra)— ২৩শে জানুয়ারি, টুইটার
৯. অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) টেররিস্ট বলেন: প্রবেশ ভার্মা—২৫শে জানুয়ারি
১০. “দেশ কে গদ্দারোঁ কো” স্লোগান দেন অনুরাগ ঠাকুর—২৭শে জানুয়ারি, দিল্লি
১১. শাহীনবাগের প্রতিবাদীরা ঘরে ঢুকে মেয়েদের ধর্ষণ ও খুন করবে: প্রবেশ ভার্মা—২৮শে জানুয়ারি, টুইটার
১২. গুজরাটের দুই কংগ্রেস MLA, জামালপুর-খাদিয়ার MLA ইমরান খেড়াওয়ালা এবং দরিয়াপুরের MLA গিয়াসউদ্দিন শেখ যোগ দান করেন শাহীনবাগে মঞ্চে। তা নিয়ে গুজরাট বিধানসভায় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের—২৯/৩০শে জানুয়ারী
১৩. শাহীনবাগ থেকে প্রায় প্রতিদিনই ফোন এসেছে তাঁর কাছে এবং তিনিও ক্রমাগত সাহায্য করেছেন শাহীনবাগের প্রতিবাদীদের: স্বীকারোক্তি—দিল্লির বিকাশপুরী নির্বাচন কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মুকেশ শর্মা—১লা ফেব্রুয়ারি
১৪. কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ শাহীনবাগে উপস্থিত হয়ে শিশুকে কোলে নিয়ে তার আধো আধো বুলিতে তাকে দিয়ে ‘আজাদি’ স্লোগান বলিয়েছেন — ১০ই ফেব্রুয়ারি
১৫. উমর খালিদ প্রকাশ্য জনসভা থেকে আহ্বান জানান দিল্লিতে ইউ এস প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে হবে যাতে তিনি বুঝতে পারেন ভারত গান্ধীর পথ থেকে সরে গিয়েছে—১৭ই ফেব্রুয়ারি
১৬. ওয়ারিশ পাঠানের “১৫ কোটি মুসলমান ১০০ কোটি হিন্দুকে শাসন করতে পারে” মন্তব্য: ২০শে ফেব্রুয়ারি, কালবুর্গি, কর্ণাটক
১৭. “পুলিশ দিল্লির রাস্তা খালি করতে না পারলে ইউ এস প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার পর আমরাই পথে নামব রাস্তা খালি করতে”: কপিল মিশ্র, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, মৌজপুর, দিল্লি।
১৮. দিল্লি যখন হিংসায় উন্মত্ত, তখন হায়দ্রাবাদের কংগ্রেস নেতা কবি ইমরান প্রতাপগড়ি হায়দ্রাবাদেও শাহীনবাগ মডেলের প্রতিবাদ মঞ্চ দাবী করেন — ২৫শে ফেব্রুয়ারি,
উপরোল্লিখিত ঘটনার সময়ানুক্রম অর্থাৎ তারিখ লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে উস্কানি বা প্ররোচনার আরম্ভ হয়েছিল সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সভা দিয়ে এবং কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ আগাগোড়াই প্ররোচনা সরবরাহ করে গিয়েছে। এক অর্থে বলা যায়, সনিয়াই উদ্বোধন করেছিলেন শাহীনবাগ মঞ্চের। যে দিন নেত্রী “ইসপার ইয়া উসপার কি লড়াই”এর ডাক দিলেন, সেই দিনই শুরু হয়েছিল শাহীনবাগে মহিলাদের ধর্ণা। উপরোল্লিখিত ঘটনার তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে উপরোক্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের বা আচরণের ৩৫% হয়েছে কংগ্রেসের দ্বারা, ৩৫% আমানাতুল্লাহ্ খান, উমর খালিদ ও ওয়ারিশ পাঠানের দ্বারা সম্মিলিতভাবে এবং ৩০% হয়েছে তিনজন বিজেপি (BJP) নেতার দ্বারা এবং অনেক পরে, প্রতিক্রিয়া হিসেবে। অর্থাৎ গুরুত্ব হিসেব করলে প্ররোচনা দেওয়ায় কংগ্রেস ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ মোট প্ররোচনামূলক মন্তব্য ও ঘটনার ৭০% আর বিজেপির দিক থেকে তা ৩০%.
সনিয়া, প্রিয়াঙ্কা, রাহুল, আমানাতুল্লাহ্ খান ইত্যাদির প্ররোচনাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র কপিল মিশ্র বা অনুরাগ ঠাকুরের নির্বাচনী প্রচার-বক্তব্যের ওপর গণমাধ্যমগুলির একপেশে নজর দেওয়া দেখে এ প্রশ্নও ওঠে যে গণমাধ্যমগুলিও এই পরিকল্পনার অঙ্গ কি না। ২০শে ফেব্রুয়ারি ওয়ারিশ পাঠানের “১৫ কোটি মুসলমান ১০০ কোটি হিন্দুর ওপর প্রভুত্ব করবে” মন্তব্য নিয়েও সংবাদমাধ্যমের বিশেষ কোনো হেলদোল হয় নি, যতখানি তার তিন দিন পর ২৩শে ফেব্রুয়ারি কপিল মিশ্রের (Kapil Mishra) নিজেরা রাস্তা খালি করতে চাওয়ার পর হয়েছিল। প্রতিক্রিয়ার এই বৈষম্য সন্দেহজনক।
বিতর্ক উঠছে যে বিরোধীরা যে মন্তব্যই করুন, কেন্দ্রের শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের মন্তব্যের ওপর সংবাদমাধ্যমের নজর সর্বদা কিঞ্চিৎ বেশি থাকে। এই যুক্তি গ্রহনযোগ্য। তবে সেই সঙ্গে অপর একটি বিষয় ভেবে দেখা আবশ্যক যে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী, তাঁর পুত্রকন্যা এবং আম আদমি পার্টির আমানাতুল্লাহ্ খান যেভাবে আদতেই মানুষকে উস্কানি দিয়েছেন, ১৪ই ডিসেম্বর থেকে শুরু করে যেভাবে বারংবার হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে, তার পর দিল্লি নির্বাচনের এক পক্ষকাল মাত্র আগে বিজেপির নেতারা (বিজেপি থেকে উত্তেজক মন্তব্য প্রথম করেন কপিল মিশ্র, ২৩শে জানুয়ারী) যদি তার জবাবী মৌখিক আস্ফালন কিছুমাত্র না করতেন, তবে দিল্লির নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপির কার্যকর্তাদের মনোবল ভেঙ্গে যেতে পারত। শাসক দলকে শক্তির আস্ফালন মানায় না। কিন্তু চরম উত্তেজক পরিস্থিতিতে নীরবতা অবলম্বন করে পরোক্ষে দুর্বলতা প্রকাশও মানায় না। দিল্লি নির্বাচনে পরাজয় সুনিশ্চিত বুঝেও শাহীনবাগ মডেলের হিংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অ্যাগ্রেসিভ প্রচার করেছিল বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরণ প্রতীত হবে বলে কোদালকে কোদাল না বললেও শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিই হত।
দিল্লিতে যা ঘটেছে, যেভাবে ঘটেছে, যে সময়ে ঘটেছে এবং যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ তাতে যে ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন বা করেন নি, তাতে প্রতীত হয় যে এইসব ঘটনা ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে রাডিকাল শরীয়তী ইসলামী লবির একটি সম্মিলিত ষড়যন্ত্র। ভারতের নানা রাজনৈতিক দল সেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতের ঘুঁটি এবং তার মূল মধ্যস্থতাকারী কংগ্রেস। দিল্লির শাহীনবাগ আন্দোলনের সূচনা দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর জনসভার দিনে। তাছাড়া কংগ্রেসের দাবী ও শাহীনবাগের প্রতিবাদীদের দাবীও প্রায় একই। প্রতিবাদীরাও দাবী করছে সিএএ (CAA) রোল ব্যাক করা হোক্, আবার পি চিদম্বরমের দাবীও ছিল তাই। চিদম্বরম পরামর্শ দিয়েছিলেন, সিএএ ততদিন ধরে রাখা হোক যতদিন পর্যন্ত না সুপ্রিম কোর্ট এটিকে সবুজ সংকেত দেয়। উপরন্তু, শশী থারুর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়াতে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি মণীশ তিওয়ারি দাবী করেছেন যে এই মুহূর্তে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি কেবলমাত্র সনিয়া গান্ধী। সনিয়া গান্ধীর হিন্দু বিরোধী মনোভাব বর্তমানে বহুজনবিদিত একটি তথ্যায়িত সত্য (প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর বই), উপরন্তু তাঁর টেররিস্ট প্রীতিও অজ্ঞাত নয়। দিল্লির বাটলা হাউস এনকাউন্টারের পর টেররিস্টের মৃত্যুতে প্রকাশ্যে অশ্রুপাত করতে দেখা গিয়েছিল সনিয়াকে। তাই দেশে সিএএ (CAA) -বিরোধী প্রতিবাদের নামে রাডিকাল ইসলামিক লবির অতি-সক্রিয়তার এ হেন সময়ে সেই সনিয়াকেই কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে চাইবার কোনো বিশেষ তাৎপর্য আছে কিনা, সে প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক। উপরন্তু ইউ এস প্রেসিডেন্টের আসার দিনটিকেই দাঙ্গার দিন হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘটনাও এই দিকেই ইঙ্গিত করে যে দাঙ্গাবাজরা বর্তমান ভারত সরকারের বিরোধী। হাই প্রোফাইল বিদেশী অতিথির সামনে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক, তা তারা চেয়েছিল। সেই হিসেবেও সন্দেহের নিশানা প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের দিকেই থাকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনের নৈশভোজে উপস্থিত না হয়েও দেশের অন্তর্দলীয় টানাপোড়েনের প্রতি বিদেশী অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করার যথেষ্ট প্রয়াস কংগ্রেস করেছে। তবে প্রতিবাদীরা হয়ত ভেবেছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এইসব করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করে এবং সিএএ ও দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে না চেয়ে প্রেসিডেন্ট অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্ তাদের সে আশায় জল ঢেলে দিয়ে চলে গিয়েছেন।
দিল্লির ঘটনার পর প্রথম মুখ খুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ও ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভুবনেশ্বরের সভা থেকে দিল্লির ঘটনার জন্য কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকেই দায়ী করেছেন। তাছাড়া গত ৫ই মার্চ দিল্লির ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চেয়ে এমন অসংসদীয় আচরণ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীরা (Adhir Chowdhury) করেছেন যে স্পিকার তাঁদের ৭ জনকে সাসপেণ্ড করতে বাধ্য হয়েছেন। দোলের পরে দিল্লির ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনা করার কথা স্পিকার স্বয়ং বলা সত্ত্বেও সে আলোচনা এক সপ্তাহ আগেই করার জন্য কংগ্রেস সাংসদরা এমন মরিয়া হয়ে উঠলেন কেন, সে নিয়েও চলছে জল্পনা। তবে কি দিল্লির ঘটনার পূর্ণ তদন্তের পর সবরকম তথ্য সংগ্রহ করে তারপরেই সে বিষয়ে সংসদে আলোচনা হোক— কংগ্রেস তা চায় না? উঠছে তেমন প্রশ্নও।
দেবযানী ভট্টাচার্য্য (Debjani Bhattacharyya)