পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানা গেল। কারণ, সেই দেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ জোড়া নোটিশ পাঠিয়েছে ইমরান খানকে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাক প্রধানমন্ত্রী সেই নোটিসের কোন জবাব দেয়নি। জানা যাচ্ছে, ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তিন নম্বর নোটিশ দেওয়ার পরও যদি ইমরান খান জবাব না দেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ’কে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠায় এফআইএ, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায়। এরআগে, প্রথম নোটিশ ইমরান খানকে ধরানো হয়েছিল গত ১০ ই আগস্ট। সেই সময় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল ইমরানকে। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এখন জানা যাচ্ছে, তিন নম্বর নোটিশ পাঠানো হবে তাঁকে। এরপরও, যদি ইমরান নোটিশের জবাব না দেন তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এই গোটা বিষয়টি প্রসঙ্গে ইমরান খান জানিয়েছেন, ”আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। কোনও তথ্য পেশ করতেও বাধ্য নই। দু’ দিনের মধ্যে নোটিস যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তা হলে আইনি পদক্ষেপ করব।” অন্যদিকে, তদন্তকারী আধিকারিকেরা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়ামে পাঁচটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ইমরানের দল ওই পাঁচটি সংস্থা থেকে অর্থ পেয়েছিল। কিন্তু এই গোটা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি পাক নির্বাচন কমিশনের হলফনামায়। চলতি বছরের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল, বেআইনিভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের থেকে ইমরান খানের পিটিআই তহবিল সংগ্রহ করেছে। এই মামলায় কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ ইমরানের দলকে শোকজ করে দিয়েছিল। এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ইমরান ও তাঁর দলের থেকে।