গোপনে গোপনে ফের সশস্ত্র হামলার জন্য তৈরি উন্মত্ত ট্রাম্প ভক্তরা। যেমনটি তারা করেছিল গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন সংসদ ভবনে ঢুকে। রক্তাক্ত পরিস্থিতির পরে সতর্কতা জারি করে এফবিআই। বলা হয়, ১৭ জানুয়ারি হতে পারে হামলা। সেই কারণে গোটা মার্কিন মুলুকের ৫০টি প্রদেশে নেমেছে হাজার হাজার সেনা। এ এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি।
ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে, সশস্ত্র হামলা এবং ফের গোলযোগের আশংকায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি এখন ‘লক ডাউন’ অবস্থায়। ন্যাশনাল গার্ড যে কোনো হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিবিসি, ফক্স নিউজের খবর, ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ২৫,০০০ ন্যাশনাল গার্ড।
এছাড়াও বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সির হাজার হাজার রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স আশ্বস্ত করেছেন, নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানটি নিরাপদে হবে। আগেই এফবিআই, হুঁশিয়ারি দিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে দেশের ৫০টি প্রদেশে সশস্ত্র হামলার আশংকা রয়েছে।
এর অন্যতম মিশিগান, ভার্জিনিয়া, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া এবং ওয়াশিংটন। আটক শতাধিক। চিহ্নিত দুশো জনের বেশি। এরা সবাই সশস্ত্র ট্রাম্প ভক্ত, যাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই ফের হামলার ছক তৈরির অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ জানুয়ারি উন্মত্ত ট্রাম্প ভক্ত তথা রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে হামলা চালায়।
নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংসদে বাইডেন কে বিজয়ী স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার আগে ট্রাম্পের ভাষণের পরেই হয়েছিল হামলা। নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পর থেকেই ওয়াশিংটন জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।
ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশইন( এফবিআই) আশংকা করছে যে, ২০শে জানুয়ারি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময়ে সম্ভাব্য সশস্ত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ হতে পারে। ৬ই জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্যাপিটল দখলের রক্তাক্ত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য এফ বি আই এরই মধ্যে ২৭০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে।
একশ জনেরও বেশি গ্রেফতার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির মিথ্যে বিবরণে এই উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। কাউকে কাউকে প্রাক্তন কিংবা বর্তমান সামরিক বাহিনী বা পুলিশের কর্মী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ভয়েস অফ আমেরিকার খবর, ক্যাপিটল হামলার তদন্ত চলছে।
গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, মার্কিন সংসদ সদস্যদের কে কি গত ৬ জানুয়ারি হামলার সময়ে ভূমিকা। তদন্তে আরও দেখা হচ্ছে, গোয়েন্দা দফতর এ বিষয়ে কেন আগাম বার্তা দিতে পারেনি।