কোভিড যুদ্ধ জয়ের প্রথম ধাপ! ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেল ফাইজার-বায়োএনটেকের (Pfizer- BioNtech) সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধক। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সে দেশে এই টিকার ব্যবহার শুরু হবে।
বুধবার সে দেশের সরকার এই ছাড়পত্র দেয়। ব্রিটেনই (Britain) প্রথম দেশ যেখানে ফাইজার-বায়োএনটেকের সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধক (COVID-19 Vaccine) ছাড়পত্র পেল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই প্রতিষেধক গোটা বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌঁছে যাবে। সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন তাঁরা।
এদিন বরিস জনসনের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অর্গানাইজেশন (MHRA) এই সম্ভাব্য প্রতিষেধক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ব্রিটিশ সরকারও। আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্রিটেনের সর্বত্র এই প্রতিষেধক মিলবে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানান, “বড় সুখবর। আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই টিকা প্রদানের শিবির শুরু হবে।”
ছাড়পত্র মেলায় খুশি ফাইজার-বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষও। তাঁরা ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কোভিড-১৯ বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় শুরু হল।” সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট বউরোলা জানান, “আমরা আগেই বলেছিলাম বিজ্ঞানের জয় হবে। সেই অনুযায়ী কাজও চলছিল। মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অর্গানাইজেশনকে ধন্যবাদ। তাঁরা ব্রিটেনের মানুষকে সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিল। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই ছাড়পত্র দেওয়ায় বহু মানুষের উপকার হল।”
কিন্তু কতটা কার্যকর হবে এই ভ্যাকসিন? মার্কিন সংস্থা ফাইজার জানিয়েছিল তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর। শেষ দফা ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের পর কোম্পানির দাবি ছিল, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিশ্বজুড়ে এখনও দাপট দেখিয়ে চলেছে মারণ ভাইরাস। কিছু জায়গায় প্রকোপ সামান্য নিম্নমুখী হলেও করোনাতঙ্ক থেকে পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। আর সেই কারণেই ভ্যাকসিন আসার প্রহর গুনছে প্রত্যেকে। এর মাঝেই ফাইজারের টিকার ছাড়পত্র পাওয়া নিসন্দেহে নতুন করে জীবনীশক্তি জোগাবে।