পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে দুই নাবালিকা হিন্দু মেয়ের অপহরণের মামলা এখনো ঠাণ্ডা হয়নি, আর তাঁর আগেই পাকিস্তান থেকে আরেক হিন্দু মেয়ের অপহরণের খবর আসছে। শোনা যাচ্ছে এই হিন্দু তরুণী সোনিয়া ভিল কেও অপহরণের পর জোর করে তাঁর ধর্মপরিবর্তন করানো হয়েছে।
বর্ষীয়ান পাকিস্তানি সাংবাদিক বিলাল ফারুকি টুইট করে এই অপহরণ আর ধর্মপরিবর্তনের তথ্য সার্বজনীন করেন। উনি টুইট করে লেখেন, ‘আরেকটি হিন্দু মেয়ে সোনিয়া ভিল-কে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে অপহরণ করে ধর্মপরিবর্তন করানো হয়েছে।
এই ঘটনা সেই সময় হয়েছে, যখন পাকিস্তানে দুই নাবালিক হিন্দু মেয়ে রিনা আর রবিনাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মপরিবর্তন এর খবর গোটা বিশ্বের সামনে উজাগর হয়েছে। পাকিস্তানের সরকার আগাগোড়াই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদানে ব্যার্থ। বিলাল ফারুকির এই টুইটের পর, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদ এই খবরকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁদের ওয়েবসাইটে যায়গা দেয়।
আরেকদিকে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমও হিন্দু মেয়েদের অপহরণ আর জোর করে ধর্মপরিবর্তনের ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম ডন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তরফ থেকে দুই হিন্দু নাবালিকার অপহরণ এবং তাঁদের জোর করে ধর্মপরিবর্তনের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার আদেশের খবরকে প্রাধান্য দিয়েছে। আরেকদিকে পাকিস্তানের দ্য নেশন পত্রিকা এই পুরো ঘটনাকে শিরোনামে তুলে ধরেছে। যদিও পাকিস্তানের উর্দু পত্রিকা গুলোতে এই খবর স্থান পায়নি!
গতকাল পাকিস্তানি নাগরিক তথা বিশ্ব শান্তি নোবেল বিজেতা মালালা ইউসুফজাই টুইটারে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হওয়া হামলা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছিলেন। তখন এক ভারতীয় টুইটার ব্যাবহারকারী ওনাকে পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ নিয়ে প্রশ্ন করাতে উনি রেগে গিয়ে ওনাকে টুইটারে ব্লক করে দেন।
মালালার এই আচরণ প্রমাণ করছে যে, উনি কোনরকম ভাবেই বিশ্ব শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নন। উনিও পাকিস্তানের উর্দু পত্রিকা গুলোর মতন পাকিস্তানের এই অপরাধকে ইচ্ছে করে এড়িয়ে চলছেন।