আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম৷ দ্বিতীয়বার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে চলেছেন কোনও প্রেসিডেন্ট৷২০১৯ সালে প্রথমবার ইমপিচমেন্ট করা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে৷ দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া বেষ্টনীতে ২৩২-১৯৭ ভোটে পাশ হয়ে গেল তাঁর ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১০ জন রিপাবলিকান৷
২০১৯ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তির জন্য প্রথমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট করা হয়েছিল৷ সেবার তাঁর ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে ছিলেন রিপাবলিকানরা৷ কিন্তু এবার বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিলেন ১০ রিপাবলিকান৷ অভিযোগ, গত ৬ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল তাঁর সমর্থকরা৷ একাধিকবার প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ এই হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের৷ মার্কিন কংগ্রেসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হতেই নতুন করে লেখা হল ইতিহাস৷
এদিন ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আব্রাহাম লিঙ্কন এবং বাইবেল উদ্ধৃত করে সংবিধানের রক্ষার আইনপ্রণেতারা যে শপথ নিয়েছিলেন, তা মেনে চলার আর্জি জানান৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘ট্রাম্পের অবশ্যই চলে যাওয়া উচিত৷ আমরা যে দেশকে ভালোবাসি, উনি সেই দেশের জন্য বিপজ্জনক৷’’
বুধবার ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চলার সময় নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ মার্কিন কংগ্রেসের চার ভারতীয় বংশোদ্ভূতও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন৷ নিম্নকক্ষে ইমপিটমেন্ট হওয়ার পর এই আর্টিকেল সেনেটে ট্রায়ালের জন্য পাঠানো হবে৷ ২০ জানুয়ারির আগেই তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইমার্জেন্সি সেসনের ডাক দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার৷ উচ্চকক্ষে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরকে ভোট দিতে হবে। তাহলেই ইমপিমচড হবেন ট্রাম্প৷ তবে হাত সময় খুব কম৷ এই স্বল্প সময়ে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷
সাধারণত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যদি কোনও বেআইনি কাজ, গুরুতর অপরাধ বা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ওঠে তাহলে মার্কিন কংগ্রেস ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনতে পারে৷ দুটি ধাপে এই ইমপিচমেন্ট করা হয়৷ প্রথমত, বিধিবদ্ধ ভাবে জুডিশিয়াল কমিটিতে অভিযোগ দায়ের করতে হয়৷
এর পর ভোটাভুটি হয়৷ এই প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি পেলে তা পাঠানো হবে সেনেটে৷ দ্বিতীয় ধাপে গোটা প্রক্রিয়া চলবে সেনেটে৷ ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার নিয়োগ করতে হবে৷ প্রেসিডেন্ট আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য পেশ করবেন৷ গোটা বিচার প্রক্রিয়া দেখবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি৷