পাকিস্তানেও (Pakistan) করোনা ভাইরাসের (Corona virus) প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে কাজ বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে করাচী (Karachi) শহরের রেহরি ঘোঠ এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকার দরিদ্র মানুষগুলোকে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করছিল। কিন্তু সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে যাওয়ায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হলো। তাদের বলা হয় যে এই খাদ্য সামগ্রী হিন্দুদের জন্য নয়, শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য। ফলত, সরকারি খাদ্য সামগ্রী না মেলায় না খেতে পেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে করাচীর দরিদ্র হিন্দু পরিবারগুলোকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনা সামনে আসায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের সরকার সিন্ধু প্রদেশসহ সারা পাকিস্তানের দিনমজুর এবং শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমত স্থির হয় যে স্থানীয় NGO-দের দ্বারাই এই বিতরণের কাজ করা হবে। করাচী শহরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসলামিক NGO সায়লানি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে (Saylani Welfare Trust)। সেইমত গতকাল রবিবার, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু হিন্দু দিনমজুর ও শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাদের বলা হয় যে ওই সামগ্রী শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য। তারপর ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদেরকে। ইতিমধ্যেই হিন্দুদের করুন অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ডঃ আমজাদ আয়ুব মির্জা (Dr. Amjad Ayub Mirza)। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের করাচী এবং সিন্ধু প্রদেশের হিন্দুরা চরম খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিনি ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।