মাঝ আকাশে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, সব যাত্রীর মৃত্যু

মাঝ আকাশে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। শনিবার পশ্চিম ফ্রান্সে মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফ্টের সঙ্গে অন্য এক বিমানের ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দু’টি বিমানে সবমিলিয়ে পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় এই পাঁচ জনই মারা গিয়েছেন। সৌভাগ্যবশত দু’টি বিমানের একটিতেও বেশি সংখ্যক যাত্রী ছিলেন না। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে অনুমান করা হচ্ছে।

মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফ্টে যদিও বেশি সংখ্যক যাত্রী ধরার কথা নয়। মাত্র দু-জন ছিলেন। ডিএ ৪০ নামে অপর যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাতে ছিলেন তিন জন। এটি একটি পর্যটক বিমান। নাদিয়া সেঘিয়ার নামে ফ্রান্সের এক সরকারি আধিকারিক জানান, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ লচেসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানদু’টি।

সংঘর্ষের জেরে দু’টি বিমানে তখনই আগুন ধরে যায়। দমকলের ৫০ জন কর্মীর তত্‍‌পরতায় অভিশপ্ত দুই বিমানের আগুন নেভানো হয়। কিন্তু, পাঁচ বিমানযাত্রীই মারা যান। দু’টি বিমান কী ভাবে মাঝআকাশে মুখোমুখি চলে এল, বিমান দুর্ঘটনার কারণই বা কী, সে বিষয়ে বিশদ কিছু জানা যায়নি। ২০২৫ সালের মার্চে ফ্রান্সে যাত্রিবাহী বিমান ভেঙে ১৪৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। জার্মান এয়ারলাইনসের এয়ারবাস A-320 বিমানটি স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ড্যুসেলডর্ফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বিমানে ১৪২ জন যাত্রী ছাড়াও দুই পাইলট-সহ ছ-জন বিমানকর্মী ছিলেন। মাঝপথে দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সের বার্সেলোনেট্টে এলাকায় একটি স্কি রিসর্টের কাছাকাছি ভেঙে পড়ে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলান্দে সেই সময় ঘোষণা করেন দুর্ঘটনায় কারও বাঁচার আশা নেই। দক্ষিণ ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালার কোলে ভেঙে পড়ে বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ গামী A320 বিমানটি। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পরে জানায়, একটি গ্রামে বিমানের ভগ্নাবশেষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জার্মান উইংস সংস্থাটি বিখ্যাত বিমানসংস্থা লুফৎহানসার একটি শাখা সংস্থা।

ফ্রান্সের মাটিতে ২০০০ সালের পর এটাই ছিল প্রথম বিমান দুর্ঘটনা। ওই বছরের জুলাই মাসে রাজধানী প্যারিসের বাইরে এয়ার ফ্রান্স কনকর্ড বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে ১১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন জার্মান নাগরিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.