মার্কিন জনমত স্পষ্ট জো বিডেনের (Joe Biden) দিকে। রাশিয়া-সহ কয়েকটি মুষ্টিমেয় দেশ ছাড়া চিন-সহ প্রায় সব দেশই বিডেনকে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউস দখলে রাখার আইনি লড়াইয়েও ধাক্কা খেয়েছে রিপাবলিকান শিবির। সব মিলিয়ে বিডেনের পর এই প্রথম জনসমক্ষে করোনা নিয়ে বক্তব্য রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে এদিন তাঁর গলায় স্পষ্ট ছিল পরাজয় মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত।
এদিন, করোনা মহামারী নিয়ে ট্রাম্প সাফ জানান, তিনি আর কোনও লকডাউন করবেন না। তবে ‘সময় বলবে’ আগামীদিনে হোয়াইট হাউসে ‘নতুন প্রশাসন’ আসলে তারা লকডাউনের পথে হাঁটবে কি না। তিনি বলেন, “আমরা লকডাউন করব না। আমি করবই না। এই প্রশাসন লকডাউন হতে দেবে না। কিন্তু ভিবিষ্যতে কোন প্রশাসন আসবে কে জানে। সময়ই এক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে।” বিশ্লেষকদের মতে, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মুখে পরাজয়ের কথা এতদিন স্বীকার করেননি। বৈধ ভোটে নিজেকেই বিজয়ী হিসেবে দাবি করে, বিষয়টিকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছেন। বারবার বলেছেন জয়-পরাজয়ের নির্ণায়ক চূড়ান্ত হবে আদালতে। এ হেন ট্রাম্প কিন্তু এবার মনে মনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। শুক্রবার ডেমোক্র্যাট চ্যালেঞ্জার জো বিডেনকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে স্বীকার করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশগুলির মতো আমেরিকাতেও ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। নির্বাচনে জনমত পেয়ে তাই প্রথমদিন থেকেই মহামারী মোকাবিলা করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন বিডেন। এদিন এই প্রসঙ্গেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। আমেরিকাবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি দাবি করেন, ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যেই দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার জন্য করোনার টিকা চলে আসবে।