কক্সবাজারের টেকনাফে এক চিকিৎসককে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা। নিহত চিকিৎসকের নাম ডা. হামিদকে (৪১)। তিনি রোহিংগাদেরই চিকিৎসা দিতেন। লোকসেবী হিসেবে ছিলেন সর্বপ্রিয়। কারও সাথে তার শত্রুতা ছিল না।

জানা যায়,র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা জঙ্গী ও ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণকারী ডাকাত সর্দার নুর আলম মারা গেলে তার পাল্টায় তার অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ডাকাত নুর আলম। প্রতিশোধ হিসেবে সন্ধ্যায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের একদল সশস্ত্র রোহিঙ্গা শালবাগান এলাকায় নিজ ডিসপেনসারিতে কর্মরত ডা. হামিদকে (৪১) অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে গুলি করে হত্যা করে। পরে ক্যাম্পে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও হামিদের স্বজনরা রাত নয়টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ পোস্ট মর্টেমের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠায়।

ডা. হামিদের বোন তাসনিম ও স্ত্রী ফাতেমা জানান, রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা চিকিৎসক হামিদকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.