ফের মন্দার কবলে পড়তে পারে আমেরিকায় অর্থনীতি। ফিরে আসতে এক যুগ আগেকার ‘সাব প্রাইম’ অভিঘাত-পর্বের ছাঁটাই পরিস্থিতি। জার্মানি ডয়েশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
এই পরিস্থিতিতে সুদ বাড়ার সম্ভাবনা ঠেকাতে আমেরিকার ফেডেরাল ব্যাঙ্ককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেছে জার্মান সংস্থাটির অর্থনীতিবিদেরা। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে পণ্যের চাহিদা কমায় আমেরিকার অর্থনীতিতে ধাক্কা এসেছে। আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতিতে ২ শতাংশে বেঁধে রাখা। শিল্পে প্রাণ ফেরাতে সুদ বাড়ানোর ঝুঁকি না নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
বস্তুত, কোভিড পরিবর্তী পর্যায়ে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশগুলির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি শ্লথ। প্রায় একই হাল অর্থনীতির দৃষ্টিকোণে ‘সম্ভাবনাময়’ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলিতে বৃদ্ধির হার। এই দুইয়ের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ফের মন্দার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।
তাঁদের দাবি, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমেরিকার আকাশে মন্দার মেঘ জমাট বাঁধার লক্ষণ স্পষ্ট। বন্ড বাজারের পাশাপাশি উৎপাদনক্ষেত্রেও সঙ্কোচনের আঁচ লেগেছে। ফলে জোরাল হয়েছে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আঘাত আসতে পারে চাকরির। সমীক্ষা সংস্থা মুডি’স অ্যানালিটিক্স সম্প্রতি পূর্বাভাস দিয়েছে, আমেরিকায় বেকারত্বের হার শীঘ্রই পঞ্চাশের দশকের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারে।