স্রেফ সীমান্তে নয়, মহাকাশেও যুদ্ধ বাঁধাতে ছক কষছিল চিন (China)! তারই অংশ হিসেবে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ভারতের একাধিক স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহে (Satellite) হামলা চালিয়েছে চিন। এমনকী, গ্রাউন্ড স্টেশনের গোপন তথ্য নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আমেরিকার চিনা অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউট (CASI) তাঁদের ১৪২ পাতার রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। পরোক্ষভাবে হামলার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে ইসরোও (ISRO)। তবে তাঁদের দাবি, একবারও সফল হয়নি জিনপিংয়ের দেশ।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চিনেক এক নেটওয়ার্ক থেকে ২০১২ সালে নাসার (NASA) জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির গোপনীয় তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা হয়। সেবার হামলায় সফলও হয়েছিল বেজিং। ওই নেটওয়ার্কের উপর পুরো কবজা করে ফেলেছিল। শুধু আমেরিকা বা ভারত নয়, একাধিক উন্নত দেশের কৃত্রিম উপগ্রহের যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট করতে চেয়েছে চিন। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে তাঁদের হাতে একাধিক উন্নত অস্ত্র রয়েছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। তারা অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মারণাস্ত্র বানিয়ে রেখেছে। রয়েছে কো-অর্বিটাল স্যাটেলাইট, এনার্জি-ওয়েপন, জ্যামার ও সাইবার ক্যাপাবল অস্ত্রও।
সম্প্রতি, ভারতও এ বিষয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। তৈরি করেছে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট তথা এ-স্যাট। এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। গত বছর এ-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে ক্ষমতা প্রদর্শন করে ভারত। ইসরো সূ্ত্রে খবর, এরপরেই চিন সেই অস্ত্রের ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল বেজিং। এমনকী, পৃথিবীর কক্ষে থাকা ভারতের বিভিন্ন স্যাটেলাইটের উপরে গোপন হামলা চালানোরও চেষ্টা করে। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের টক্কর চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে মহাকাশে একের পর এক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাচ্ছে বেজিং। ফলে ভূমি সীমান্ত ছেড়ে যুদ্ধের পরিধি ক্রমশ মহাকাশে বিস্তৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।