করোনা ভাইরাস (Corona virus) ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচার এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে, এমনটাই রিপোর্ট বিএসএফ-এর। সেইসঙ্গে জালনোট পাচার, গাঁজা পাচারের চেষ্টা তলানিতে ঠেকেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের ২২১৬ কিলোমিটারের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের সীমান্ত দিয়ে পাচারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। দক্ষিণ বঙ্গের ৯১৫ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩৭১ কিমি সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতার রয়েছে, তথ্য বিএসএফের।
দক্ষিণ বঙ্গের বিএসএফ (BSF) -এর IG ওয়াইবি খুরানিয়া জানিয়েছেন, লক ডাউন চললে জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। কোনোরকম অনুপ্রবেশ যাতে না হয়, সেটাও দেখছি আমরা। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেকথা মাথায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বিএসএফ (BSF) -এর পক্ষ থেকে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, জালনোট কিছু সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। তবে ওই জালনোটগুলির গুণমান অত্যন্ত নিম্নমানের। সেইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে, ফলে কমেছে পাচারের সংখ্যা। লক ডাউনের (Lock down) দিনগুলিতে কোনোরকম গাঁজা বা মাদক পাচারের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।