কোভিড১৯ (Covid 19) -এ আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন পাক তারকা অল-রাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। গত বৃহস্পতিবার থেকে শারীরীক অসুস্থতা অনুভব করায় করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি লেখেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। খুব খারাপ বোধ করছিলাম। উপায় না দেখে করোনা পরীক্ষা করাই এবং দুর্ভাগ্যবশত রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দ্রুত সুস্থতার জন্য তোমাদের প্রার্থনা চাইছি, ইনশা আল্লাহ।’
সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব হিসেবে করোনা আক্রান্ত হলেন আফ্রিদি। এর আগে তাঁর দেশোয়ালি একদা সতীর্থ তৌফিক উমরও আক্রান্ত হয়েছিলেন মারণ ভাইরাসে। যদিও তিনি করোনাকে হারিয়ে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। স্বাভাবিকভাবেই দেশের হয়ে ৩৯৮ ওয়ান-ডে ম্যাচ খেলা আফ্রিদির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে।
লকডাউনের মাঝে প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু দুঃস্থ মানুষের। স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী বিলি করে শিরোনামে এসেছেন। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় অর্থসাহায্যের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের নিলামে তোলা ব্যাট কিনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ‘বুম বুম’।
তেমনি আবার লকডাউনের মাঝে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বসেন তিনি।ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী দেশের বিরাগভাজনও হতে হয়েছে তাঁকে। সবমিলিয়ে লকডাউনের মাঝে একাধিক ক্ষেত্রে শিরোনামে উঠে আসা আফ্রিদি সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, যিনি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
তৌফিক উমরের আগে গত এপ্রিলে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণীর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার জাফর সরফরাজও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মারণ ভাইরাসের আঁচ থেকে ফিরে আসতে পারেননি বছর পঞ্চাশের ওই ক্রিকেটার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জাফরের।
পাকিস্তানে (Pakistan) পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষজন। যা কিনা এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি। আর নতুন করে ৬ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেশে মোট সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৩৩ তে।