এই ছবিটি হল ড্রয়িং ফ্রম দ্য গুলাগের একশ’তিরিশটা ছবির একটি। শিল্পী দেনজিগ বলদায়েভ। একজন সোভিয়েত পুলিশ অফিসার। সসম্মানে ১৯৮০ সালে মেজর হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন।
দ্য গুলাগ আর্কিপেলাগোর রচয়িতা নোবেল লরিয়েট সলজিনেৎসিনের মতো এন্টি কমিউনিস্ট বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবেনা এই ভদ্রলোককে।
কুখ্যাত সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা এনকেভিডিই তাকে সেন্ট পিটার্সবার্গের গার্ডের চাকরি দেয়।
পরে আরেক কুখ্যাততর গুপ্তঘাতকবাহিনী কেজিবির বদান্যতায় বলদায়েভ গোটা সোভিয়েত ঘুরে ঘুরে ছবি এঁকে বেড়ান।
এভাবেই একদিন হাজির হন গুলাগে। গুলাগে লাখ লাখ বন্দীর দুঃসহ অবস্থা দেখে বলদায়েভ বাধ্য হন তাদের বিভীষিকাময় জীবনকে পেন্টিং-এ ফুটিয়ে তুলতে। সামান্য সন্দেহের বশে বাজার থেকে বা কমিউনিটি সেন্টারের দাবার আসর থেকে তুলে এনে, ভূয়ো বিচারে বা প্রায় বিনা বিচারে অসংখ্য নারী পুরুষকে ঠেলে দেওয়া হতো এই ভয়ংকর নরকে। খাদ্য আর পোশাকের অভাবেই কত মানুষ সাইবেরিয়ার ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে এমনি এমনিই মরে গেছে তার সঠিক হিসেব মেলা ভার।
আর বন্দী যদি একজন যুবতী হতো তো কথায় নেই। নেকড়েরা নরম মাংস পেলে যা করে কেজিবির অফিসাররা তার থেকেও জঘন্যতম অপরাধ করতে পারতো। সেই নোংরামোর একটি অনু উদাহরণ এই পেন্টিং।
সিপিএম কে ভোট দেবার আগে ভাববেন ভারতবর্ষে এরকম গুলাগ চান কিনা?
রুনু গুহ নিয়োগী