মানচিত্র প্রকাশ করে ফের ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করল চিন। সোমবার ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এর ২০২৩ এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানেই অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের বিতর্কিত ভূ-ভাগগুলিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চিন। একইসঙ্গে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকেও নিজেদের ম্যাপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই চিনের এই ম্যাপ প্রকাশ্যে আসার পরই তার তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত।
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ সবসময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল । আর ভবিষ্যতেও তাই-ই থাকবে (“always been” and will “always be”)। প্রসঙ্গত, চিনের জাতীয় সম্পদ মন্ত্রকের তরফে এই ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এর ২০২৩ সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘকাল ধরেই অরুণাচল প্রদেশকে দখলের চেষ্টায় চিন। অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। চিন দাবি করে, অরুণাচল প্রদেশ হচ্ছে দক্ষিণ তিব্বত। যে দাবি বার বারই খারিজ করে এসেছে ভারত। এমনকি অরুণাচল প্রদেশ থেকে ভারতীয় কিশোরকে অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে। লংঘন করেছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা LAC। ওদিকে ১৯৬২-র যুদ্ধের সময় আকসাই চিন দখল করে নেয় চিন। তারপর থেকে লে-লাদাখ সীমান্ত দিয়েও বহু বার ভারতীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনা সেনা।
দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কয়েকবার। ডোকলাম সংঘর্ষ যার জ্বলন্ত উদাহরণ। তারপর থেকে সীমান্তে দু-পক্ষই নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে। এমনকি সীমান্ত বরাবার রাস্তা তৈরিরও অভিযোগ উঠেছে চিনা সেনার বিরুদ্ধে। একদিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে ম্যাপে রেখে ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করেছে চিন, ঠিক তেমনই তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকেও নিজেদের ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করে চিনা রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের দীর্ঘদিনের লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরের উপর অধিকার রয়েছে, অধিকার দাবি করে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ানও।