গালওয়ানে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতেই চিনা সেনাদের ছাউনি ভেসে গিয়েছিল।এর জেরেই মনোবল হারিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে চিনা সেনা।পূর্ব লাদাখে ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার উদ্দেশ্যে গালওয়ান নদীর পাড়ে বিপুল পরিমাণ সেনা সমাগম করে চিন।পার ঘেঁষে তৈরি করা হয় ছাউনি।কিন্তু গরম পড়ে যাওয়ার ফলে হিমালয়ের বরফ গলতে শুরু করেছিল সেই কারণে নদীতে জলস্তর বাড়তে থাকে। দু’কূল ছাপিয়ে যায় নদীর জল।নদীর জলের স্রোতে ভেসে যায় চিনা সেনা ছাউনি।ফলে বাধ্য হয়ে পিছু হটে তারা।কারাকোরামের পূর্ব দিকে এই নদীর উৎপত্তি।পশ্চিম দিকে এসে শেয়ক নদীতে মিশেছে গালওয়ান নদী। ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার জন্য মে মাসে সেনা সমাগম করেছিল।কিন্তু এখন জলের স্রোতে সব ভেসে গিয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্র থেকে সেটাই প্রমাণিত। কিন্তু এক সেনা কর্তা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে যখনই বৃষ্টিপাত কম হবে এবং ধীরে ধীরে গরম কমতে শুরু করবে তখন সেখানে ফের সেনা সমাগম করতে পারে চিন। ১৯৬২ সালের ১৪ জুলাই চিনা সেনা প্রথমে পিছু হটেছিল পরে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল। কারণ একাধিকবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে দাবি করে আসা হচ্ছে যে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে ভারত যে দাবি করে আসছে তা ভিত্তিহীন এই উপত্যাকা প্রথম থেকেই চিনের অধীনে।
ভুলে গেলে চলবে না ১৫ জুন, সোমবার মাঝরাতে এই গালওয়ানে অতর্কিতে হামলা চালায় চিন। হাতাহাতিতে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হন।