বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, অতি বাড় বেড়ো না। চীনের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটি পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। চীন সবসময় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ক্ষতিসাধন করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। অবশ্য এখন এর ফল হাতেনাতে পাচ্ছে। চীনের রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট এভারগ্রান্ডের সম্ভাব্য পতনের আশঙ্কায় সাংহাইয়ের সম্পত্তি বিকাশকারীর বস্ সোমবার এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হারিয়েছেন। হংকংয়ের বাণিজ্যিক লেনদেন আতঙ্কিত অবস্থায় পৌঁছেছে।
ঋণের চাপে ডুবতে বসেছে চীনের বিখ্যাত কোম্পানি
চীনের বিখ্যাত কোম্পানি এভারগ্রেড উপর 300 বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। এভারগ্রেড মূলত একটা রিয়েলস্টেট কোম্পানি। এই কোম্পানি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মার্কেট ও ঘরেলু মার্কেট থেকে লোন তুলছিল। এদিকে জিনিস সরকার নিজের জিডিপি গ্রোথ এর হার বেশি রাখার পাগলামিতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গুলোর দুর্ব্যবহার শুরু করেছিল। এবার গ্রেট কোম্পানিকে ব্যবহার করে চীনের সরকার বহু স্মার্ট সিটির নির্মাণ করেছে, যেখান থেকে আয় প্রায় শুন্য। কারণ ওই ওই শহরগুলিতে কোন লোক বসবাস করে না এই কারণে শহরগুলি বর্তমানে ঘোস্ট সিটি নামে পরিচিত।
চীনের এত বড়ো কোম্পানির পতনের দরুন একদিনে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ রোজগার হারিয়েছেন। সিনিক হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান ঝ্যাং ইউয়ানলিন জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ১.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বিকাল নাগাদ ২৫০.৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ফোর্বসের মতে, হংকংয়ে তার শেয়ার মূল্য ৮৭ শতাংশ হ্রাসের পরে বাণিজ্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
চলতি বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের ফোর্বস-এর বিলিয়নেয়ার তালিকায় ঝ্যাংকে স্থান দেওয়া হয়েছে। তবে চরম সম্পদশালী জায়ান্ট এভারগ্রান্ডের সম্ভাব্য পতনের ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে ঝ্যাং। ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণে ডুবে যাওয়ায় এভারগ্রান্ড – চীনের অন্যতম বড় জায়ান্ট আগামী সপ্তাহে সুদ পরিশোধ করতে হিমসিম খাবে বলে মনে করছে অর্থবিদরা।
চীনের জিডিপির এক -চতুর্থাংশের বেশি সম্পত্তি খাতের হিসাবে গড়মিল থাকায় দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারী এবং সরবরাহকারীরা প্রাপ্য অর্থের দাবিতে কোম্পানির অফিসের বাইরে বিরল বিক্ষোভ শুরু করেছে – যাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেন যে তাদের এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে।